হবিগঞ্জ (আজমিরীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঝরে পড়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষার্থী

হবিগঞ্জ জেলার মানচিত্র। গ্রাফিক্স : কালবেলা
হবিগঞ্জ জেলার মানচিত্র। গ্রাফিক্স : কালবেলা

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ঝরে পড়ার শঙ্কায় দিন পার করছে উপজেলার ৯টি এমপিওভুক্ত ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছুক হাজারো শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রতি শাখায় ৫৫ জন এবং ২টি শাখায় ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিপরীতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে গড়ে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় তিন শতাধিক। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শঙ্কায় দিন পার করছে হাজারো শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ বলছে, আমরা নির্দেশনা পেয়েছি প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রতি শাখায় ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। কিন্তু প্রতিটি বিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন জমা পড়েছে কয়েক শতাধিক। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।

উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শাখা প্রতি ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশনা দেয় শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু প্রতিটি বিদ্যালয়ে গড়ে ভর্তি আবেদন জমা পড়েছে দুই শতাধিকেরও বেশি। এছাড়াও না জানার কারণে প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করেননি এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও প্রায় দুই শতাধিকের বেশি। উপজেলার ৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৫০০ এরও বেশি। হাওরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ঝরে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

অভিভাবক সাইফুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে ষষ্ট শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এখনো ভর্তি কার্যক্রম শুরু না হওয়াতে চিন্তায় আছি।

রিজভী আক্তার নামে আরেক অভিভাবক জানান, মেয়েকে ভর্তির আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়নি। যদি আসন সংখ্যা হিসাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় তবে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী বাদ পড়ে যাবে। আমরা যারা অভিভাবক আছি সবাই দুশ্চিন্তা আর শঙ্কায় দিন পার করছি।

উপজেলার জলসুখা কৃষ্ণ গোবিন্দ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও পাহাড়পুর বসন্ত কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র দাস বলেন, শাখার আসন সংখ্যার বিপরীতে আবেদন পড়েছে তিনগুণ। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় পাহাড়পুরে আবেদন করেননি এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিকের বেশি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবগত করেছি। শিক্ষার্থী ভর্তি না হতে পারলে ঝরে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আসলে জঠিলতাই দেখা দিয়েছে। আমরা সবকটি উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে যোগাযোগ করে বিষয়টি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না পেলে আমরা কিছুই বলতে পারছি না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কিউবায় চিকুনগুনিয়া-ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩৩ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব পিঠার আয়োজন, স্বাদের সমারোহে ভরবে ডিসেম্বর

সবুজে মোড়া বাঁধাকপির ভাঁজে ভাঁজে কৃষকের স্বপ্ন

ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়া যেসব সুবিধা পাবেন

প্রশ্ন না বুঝে জবাব দিয়ে ট্রলের শিকার মৈথিলী ঠাকুর

মেয়েকে নিয়ে সিদ্ধার্থের আবেগঘন বার্তা

হত্যা মামলায় সীমান্তের ২ চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

আস্থা ফিরিয়ে আনাই আগামী নির্বাচনের বড় চ্যালেঞ্জ : মাইকেল মিলার

আইপিএল নিলাম: ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপি যে ৪৫ ক্রিকেটারের

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ

১০

খালেদা জিয়াকে যে কারণে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করল সরকার

১১

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনে কতবার সুগার টেস্ট করবেন

১২

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ৩৫ লাখ টাকা ঋণ মওকুফ করেছে আশা

১৩

যমুনায় বৈঠকের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

১৪

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ওমরাহ করলেন মক্কা বিএনপির নেতাকর্মীরা

১৫

ট্যাবলেট না ল্যাপটপ, কোনটি আপনার জন্য ভালো

১৬

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ‘লেডি বাইকার’

১৭

ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে কারা থাকবেন, জানিয়ে দিলেন আনচেলত্তি

১৮

সারা দেশের তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস 

১৯

চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন খালেদা জিয়া : ডা. জাহিদ

২০
X