কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে রোহিঙ্গা তরুণীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া নাগরিকের বিয়ের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে বিয়ের আসর পণ্ড করে দেয় পুলিশ। এ সময় বিয়েতে উপস্থিত শতাধিক রোহিঙ্গা অতিথি ছুটোছুটি করে পালিয়ে যায়।
তবে পুলিশ কনেসহ অর্ধশতাধিকের বেশি রোহিঙ্গাদের ধরে ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে। বর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হওয়ায় তাকে আটক করা হয়নি।
বিয়ে করতে আসা বর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তার জন্মস্থান মিয়ানমারে। তিনি একসময় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন। সেখান থেকে প্রথমে মালয়েশিয়া পরে অস্ট্রেলিয়ায় যান এবং তিনি ওই দেশের নাগরিকত্ব পান। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ের আয়োজন করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুজ্জামান বলেন, কোনো অনুমতি না নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা এক রোহিঙ্গা যুবক জমজমাট বিয়ের আয়োজন করেন হোটেলটিতে। এমনকি সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে কোনো বৈধ অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্প থেকে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা এসে সমবেত হন। বিষয়টি আমরা জানার পর সেখানে অভিযান চালিয়ে ৬৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করি। পরে তাদের রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার- আরআরআরসি অফিসের মাধ্যমে উখিয়ার ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কক্সবাজার সদর সার্কেলের ) মো. মিজানুর রহমান জানান, বর হামিদ উল্লাহর সঙ্গে আরও ১৮ জন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে এসেছেন। তারা সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক হলেও তারা ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। তারা বর্তমানে হোটেলে রয়েছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নির্বিঘ্নে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা কক্সবাজার শহরে আসা যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে বিষয়টি দেখে এপিবিএন। তবে হঠাৎ করে কক্সবাজার শহরে রোহিঙ্গা যুবকদের আনাগোনা নিয়ে ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন