দিনাজপুরের খানসামায় অনুকূল পরিবেশে আশানুরূপ লাভজনক হওয়ায় চলতি বছর বেড়েছে পপকর্ন চাষ। এতে কৃষক দেখতে শুরু করেছেন রঙিন স্বপ্ন। ধান, সরিষা, আলু ও ভুট্টার পাশাপাশি এ ফসলও অধিক লাভজনক।
অন্য ফসলের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচ, উৎপাদন ভালো, লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য ও সরাসরি পাইকারি বাজার সৃষ্টি হওয়ায় পপকর্ন চাষে ঝুঁকেছেন সাধারণ কৃষকরা। এ ছাড়া নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ, পরামর্শ প্রদান, সরকারি সহায়তার ফলে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েই চলছে। সব মিলিয়ে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতি মৌসুমে বাড়ছে পপকর্ন চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে পপকর্ন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর অর্জন হয়েছে।
গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পপকর্ন চাষি মোস্তফা কামাল ডাবলু শাহ্ কালবেলাকে বলেন, আমি এ এলাকায় সর্বপ্রথম পপকর্ন চাষ করি। আমাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এখন চাষ করছেন। প্রথম দিকে ৬০ থেকে ৬৫ বিঘা চাষ করেছি। গতবার ও এবার ২০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গতবার ২০ বিঘা জমিতে শুকনা দেড় টন পেয়েছি। আশা করছি এবার আরও বেশি পাব।
একই এলাকার আরেক চাষি লতিফ হাজি কালবেলাকে বলেন, এ চাষে বেশ লাভবান হয়েছি। গতবারের মতো এবারও ৫ বিঘা চাষ করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো ফলন হবে বলে মনে করছি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপাল রায় কালবেলাকে বলেন, পুরো উপজেলার মধ্যে গোয়ালডিহি ইউনিয়নে ৭০ ভাগ ও বাকি ৫ ইউনিয়নে ৩০ ভাগ পপকর্ন চাষ হয়। এ চাষে চাষিদের পাশে থেকে ভালো ফলন পেতে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার কালবেলাকে বলেন, দিনাজপুরের শস্যভান্ডারখ্যাত এ উপজেলা। এ অঞ্চলের কৃষক পপকর্ন চাষে বেশ আগ্রহী। এ চাষে উদ্বুদ্ধকরণসহ সার্বক্ষণিক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন