শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত শ্রীমঙ্গলের জনজীবন

মাঠের মধ্য দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে শীতের সকালে হাঁটতে বেরিয়েছেন দুজন বৃদ্ধ। ছবি : কালবেলা
মাঠের মধ্য দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে শীতের সকালে হাঁটতে বেরিয়েছেন দুজন বৃদ্ধ। ছবি : কালবেলা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ তথ্য জানান শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান। ঘন কুয়াশা ও মেঘলা আকাশ কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া কেন্দ্র।

এদিকে উপজেলায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে মেঘলা আকাশ। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। শ্রীমঙ্গলে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে।

শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। সূর্যের তাপ না থাকায় শহর ও গ্রামাঞ্চলের লোকজনকে গরম কাপড় গায়ে দিয়েও কাঁপতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ার কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। মোটা গরম কাপড়ের অভাবে চা-শ্রমিকসহ নিম্নআয়ের লোকজন বেশি কষ্টে আছেন। টানা কয়েক দিনের হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। দিন রাত সমান তালে বইছে কনকনে হিমেল হাওয়া। ঘর থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না।

কনকনে শীতে শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগানের এক শ্রমিক কাজে বেরিয়েছেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কনকনে শীতে শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগানের এক শ্রমিক কাজে বেরিয়েছেন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ফলে রাতে শীতের অনুভূতি বেশি হবে। এ ছাড়া মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। সকাল থেকে টুকরি-কোদাল কাঁধে নিয়ে শহরের দিকে এই শ্রমজীবীদের অনেকে আসছিলেন। রিকশা ও ভ্যান নিয়েও অনেকে পথে বের হন। প্রায় সবারই কান-মাথা চাদর, মাফলার দিয়ে মোড়ানো ছিল। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ভোগান্তি আরও বাড়ে।

হাইল হাওরের বাইক্কা বিল এলাকার হাসান আহমদ বলেন, দু-চার দিন ধরে অনেক ঠান্ডা লাগছে। এর আগে এত ঠান্ডা ছিল না। রাতের বেলাতেই বেশি ঠান্ডা লাগে। গাঢ় কাপড় ছাড়া চলা যায় না।

রিকশাচালক আবুল কালাম বলেন, ‘কনকনে ঠান্ডা পড়েছে। ঠান্ডার কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ইনকাম না করলে খামু কী? ঠান্ডায় ভালো জ্যাকেটও নাই, বাধ্য হয়ে যা আছে তাই পরে বের হয়েছি।

প্রেমনগর চা বাগানের চা শ্রমিক জানান, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিমশীতের মধ্যেই তারা চা বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলার ৩৭ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৬ বছর বয়সী কিশোরের ইতিহাস গড়া ম্যাচে লিভারপুলের শ্বাসরুদ্ধকর জয়

রুমিন ফারহানাকে নিয়ে অজানা গল্প বললেন আরজে কিবরিয়া

গাঁজা নিয়ে কারাগারে প্রবেশকালে কর্মচারী আটক

ডাকসুর প্রচারণায় মানতে হবে যেসব আচরণবিধি

চাকসু নির্বাচনে প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারের অব্যহতি চেয়েছে ছাত্রদল

চমক রেখে দল ঘোষণা করল ব্রাজিল

৯ সংকেতে বুঝবেন টেস্টোস্টেরন হরমোন কমেছে

ইসরায়েলকে একহাত নিল ফ্রান্স-জার্মানি

দেশের চার এলাকাকে ‘অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন’ ঘোষণা

মাঝরাতে মিথিলার খুশির খবর

১০

‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

১১

সাব ব্রাঞ্চ ইনচার্জ পদে ইউসিবি ব্যাংকে চাকরির সুযোগ

১২

রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১৩

এসএমসিতে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

১৪

সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণে নাতির পর নানির মৃত্যু

১৫

ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন আজ

১৬

আজ ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৭

২৬ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৮

ডাকসু নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু আজ

১৯

তিন সহযোগীসহ ‘মাদক সম্রাট’ শাওন গ্রেপ্তার

২০
X