কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গৌরীপুর-লালপুর পাকা রাস্তার প্রায় ২শ মিটার অংশ গোমতী নদী ভাঙনে ধসে পড়েছে। ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় গ্রামীণ সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ গৌরীপুর বাজার হয়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালসহ জেলা সদরে যাতায়াত করেন। রাস্তাটি ভেঙে গেলে ওই এলাকার প্রায় ১৫-২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইতোমধ্যে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে রাস্তাটির একাংশ গোমতী নদীতে চলে গেছে। এতদিন রাস্তাটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করলেও গত শনিবার থেকে ভাঙন অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এই রাস্তায় যাতায়াতের সময় যাত্রীরা যানবাহন থেকে নেমে ভাঙনের অংশ পার হয়ে পুনরায় যানবাহনে উঠছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোমতী নদীর তীর ঘেঁষে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের মৌলভীখাল পাড়, চরমাহমুদ্দি গ্রামের পাশ দিয়ে চলে গেছে গৌরীপুর-লালপুর গ্রামীণ রাস্তা। দুই সপ্তাহ আগে গৌরীপুর বাজারের পশ্চিমে মৌলভীখাল পাড় গ্রাম সংলগ্ন পাকা রাস্তার একাংশ গোমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে। ইতোমধ্যে রাস্তার ওই অংশের প্রায় ২শ মিটার জায়গা ভেঙে গেছে। রাস্তার আরও কিছু জায়গায় ফাটল ধরেছে।
ভাঙনরোধে বাঁশ ও গাছের ডালা দিয়ে কাজ করতে দেখা যায় চরমাহমুদ্দি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মুন্সিকে।
তিনি জানান, রাস্তাটি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। আশপাশের কিছু এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। রাস্তাটি রক্ষার জন্য ভিপি সালাউদ্দিন রিপন ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বাঁশ ও গাছের ডালা দিয়ে প্রাথমিকভাবে অটোরিকশা চলাচলের জন্য অস্থায়ীভাবে কাজ করছি। ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে রাস্তার পর আমাদের বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি সালাউদ্দিন রিপন বলেন, নবনির্বাচিত এমপি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরকে ভাঙন এলাকাটির পুরো ভিডিওসহ কয়েকটি ছবি দিয়ে বিষয়টি অবগত করেছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নোমান মিয়া বলেন, ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী খন্দকার আফসার হোসেন বলেন, গৌরীপুর-লালপুর রাস্তাটি প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে এক বছর আগে সম্পন্ন করা হয়েছে। দুটি স্থানে নদী ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। অর্থ বরাদ্দ পেলে ভাঙনরোধে প্রকল্প নেওয়া হবে। রাস্তাটি টিকিয়ে রাখার জন্য জরুরিভিত্তিতে কিছু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, ভাঙনের বিষয়টি স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। রাস্তাটি রক্ষায় ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি মেরামত ও ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন