নোয়াখালীর সুবর্ণচরের উত্তর চরবাগ্যা ইমান আলী বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সুমাইয়া নামের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ আরোপ করেছেন শিশুটির বাবা।
গত বছরের ৯ জুলাই বিদ্যালয় চলাকালীন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সম্মুখে এই অভিযোগ উত্থাপন করেন সুমাইয়ার বাবা-মা। অভিযোগ বর্ণনা করতে গিয়ে তারা জানান, প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম শিশু সুমাইয়াকে কোলে নিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করেন এবং শিশুটির কাপড় খোলার চেষ্টা করেন বলে বাড়িতে গিয়ে জানান ভুক্তভুগী শিক্ষার্থী।
শিশুটির সঙ্গে একাধিকবার সময়ে এমন ঘটানা ঘটেছিল বলে অভিযোগ করেন তার বাবা-মা। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে নিয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম এবং ভিক্টিম শিশুর বাবা-মাসহ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষক আশানুরূপ কোনো জবাব দিতে পারেননি।
পরে বিদ্যালয় থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে মৌখিকভাবে ও লিখিত আকারে ঘটনা সর্ম্পকে অবহিত করা হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নির্দেশনার মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী তাহের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশুর মা রোজিনা আক্তার কালবেলাকে বলেন, আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার পাইনি। অথচ সেই শিক্ষক আবার একই স্কুলে যোগদান করায় শিশুর অবিভাবকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।’
এ বিষয়ে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে মুঠোফোনে কল দিলে জানান, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
মন্তব্য করুন