ফরিদপুরের পদ্মার চরে হয়ে গেল বর্ণিল ঘুড়ি উৎসব। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শত শত ঘুড়িপ্রেমী মানুষ এ উৎসবে অংশ নেন। উৎসবকে কেন্দ্র করে নানা বয়সের অর্ধ লাখেরও বেশি মানুষ হাজির হয়েছিলেন। জেলা প্রশাসন বলছে, নাগরিকদের প্রত্যাশার কথা বিবেচনা করে আগামীতে নানা দেশীয় সংস্কৃতির সমন্বয়ে চর উৎসবের আয়োজন করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফরিদপুর শহরের অদূরে ডিক্রির চর ইউনিয়নের ধলার মোড়ে প্রমত্তা পদ্মার বুকের বালুচরে উড়ছে নানা রঙ-বেরঙের ঘুড়ি। এ যেন ফেলে আসা শৈশবের স্মৃতিকে নতুন করে ফিরে পাওয়া। তাইতো আবেগে আপ্লুত দর্শনার্থীরা।
উৎসবে অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, জাতীয় পতাকা, কঙ্কাল, সাপ ও চিল ঘুড়িসহ বাহারী রঙের ও নামের অর্ধশত প্রকারের ঘুড়ি নিয়ে কয়েকশ মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এমন নির্মল আনন্দ আয়োজনে উপস্থিত হতে পেরে আনন্দিত তারা।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান ফরিদপুর সিটি অর্গানাইজেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন জানান, নানা বয়সের মানুষকে আনন্দ দিতে সপ্তমবারের মতো এ আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
ডিক্রিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির জানান, এ আয়োজন বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকেও মনে করিয়ে দেয়। হাজার হাজার মানুষ এ আয়োজনে যোগ দিয়ে অনুষ্ঠানকে জাকজমকপূর্ণ করে তোলায় আগামীতেও এ উৎসবের পরিসর আরও বাড়ানো হবে।
এদিকে এ আয়োজনে সব ধরনের সহযোগীতা করেছে জেলা প্রশাসন। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহ্সান তালুকদার বলেন, মানুষের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে আগামীতে দেশীয় নানা উপস্থাপনা নিশ্চিত করে চর উৎসবের আয়োজন করা হবে। যা থেকে উপকৃত হবে যুব সমাজ। যুবকদের মাদক ও মোবাইলের নেশা থেকে মুক্ত করতে এ ধরনের আয়োজন বেশি বেশি করা দরকার।
মন্তব্য করুন