‘মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতা বন্ধে এই আয়োজন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আমি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। এরপরও তারা কেন আসেননি, তা সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে জানতে চাইব। মনে রাখবেন, আমার নাম শামীম ওসমান। আমি কারোর দয়ায় চলি না।’
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে আয়োজিত অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন প্রত্যাশার আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে আমি প্রশ্ন তুলব- দাওয়াত কবুল করার পরও নারায়ণগঞ্জের ডিসি-এসপি কার ইশারায় মাদকবিরোধী জনসভায় অনুপস্থিত থাকে? আমার রাজনৈতিক জীবনে এত বিব্রত কোনোদিন হইনি। আমার ছোট বোন আইভীর মতো আমি সরাসরি প্রশাসনকে কিছু বলতে পারব না। উনি বলে ফেলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমি তাদের দাওয়াত দিয়েছি। সরকারটা আওয়ামী লীগের। প্রশাসন আসেনি। আমি কী বলে তাদের মনের জোর বাড়াব। আমি অনেক আগেই ডিসি অফিসে জানিয়েছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। অথচ, প্রশাসন মাদক বিরোধী জনসভায় অনুপস্থিত থাকে। আমি আনোয়ার ভাইকেও বলেছি, তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। আমার ছোট বোন আইভী হয়তো ব্যস্ত। আমি বলতে চাই সবাই আসুন। একসঙ্গে বসে একত্রে সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়ি।
তিনি আরও বলেন, আমি মাথা নত করার মানুষ না। অনেকে অনেক কিছু করেন, আমরা দেখি। টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়ী, মামলা হয় ফতুল্লা। এগুলো বলতে চাই না। হতাশ হবেন না। এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জ, আমরাই ঠিক করব।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনুসহ জেলার আলেম-ওলামা, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন