কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশার দাপট কিছুটা কমে এলেও কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপের মানুষজন। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি ) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই সপ্তাহেরও বেশি এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে গোটা জেলার জনপদ। তীব্র ঠান্ডার কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। প্রায় দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ৭০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, জেলায় শৈত্যপ্রবাহ থাকলে সব স্কুল বন্ধ থাকবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্কুল খুলবে। এ রকম একটি চিঠি জেলার ৯ উপজেলায় দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে তাপমাত্রার খোঁজখবর রাখছি।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলায় প্রায় ৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আপাতত কোনো ফসলের তেমন ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে যদি শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘদিন বয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। তার পরেও আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে কোনো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন