ভোলার মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ছেলে পারভেজের পরে বাবা আব্দুল রাজ্জাকের মরদেহও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ আব্দুল রাজ্জাকের মরদেহটি উদ্ধার করে। এর আগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে মেঘনা নদীর ইলিশা পয়েন্ট থেকে কোস্টগার্ড আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে পারভেজ সরদারের মরদেহ উদ্ধার করে।
ইলিশা নৌ-থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বেলা সোয়া ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্ট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পেয়ে জেলেরা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। আব্দুল রাজ্জাকের মরদেহটি তার পরিবার শনাক্ত করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত ২১ জানুয়ারি মধ্য রাতে মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রলারটি ইলিশার জোরখাল পয়েন্টে প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ভাঙ্গারি মালামালসহ সাতজন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন বাবা-ছেলে। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় পাঁচজন শ্রমিক সাঁতরে জেলে ট্রলারের সহায়তায় তীরে উঠে আসেন। কিন্তু আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদারসহ ট্রলারটি ডুবে যায়।
ট্রলারে থাকা সাত শ্রমিক বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পর দিন ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া যায়। বিআইডব্লিউটিএ ট্রলারটি উদ্ধার করার পর বাবা-ছেলের মরদেহ পায়নি। তবু অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়।
মন্তব্য করুন