জয়পুরহাটে একটি হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। একই আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মামলায় অপর এক আসামিকে যাবজ্জীবন এবং এক টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় বিচারক আব্বাস উদ্দীন উল্লেখিত হত্যা এবং মাদকের পৃথক দুটি মামলার রায় ঘোষণা করেন।
হত্যা মামলায় চারজন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর চৌধুরী পাড়া গ্রামের সোহাগ হোসেন, মো. রায়হান, আমিনুল ইসলাম এবং হারুনুর রশিদ। রায় ঘোষণার সময় আদালতে তিনজন উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি হারুনুর রশিদ উপস্থিত না থাকায় আদালতের বিচারক তার বিরুদ্ধে সাজা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন পাঁচবিবি গোপালপুর গ্রামের সুজন সরদার।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট শহরের ২ নম্বর স্টেশন সড়ক এলাকায় কম্পিউটরের ব্যবসা করতেন সাহাদুল ইসলাম নামের এক যুবক। আসামিদের কাছে সাহাদুলের ৬০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। ২০১০ সালে ৬ জানুয়ারি বিকেলে রতনপুর গ্রামের বন্ধু মেহেদীর রাড়িতে যান সাহানুর। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে গতিরোধ করেন আসামিরা। পরে তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করেন। সাহাদুলকে ওই রাতে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল এবং পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পর দিন ৭ জানুয়ারি সাহাদুল মারা যান। এ ঘটনায় নিহত সাহাদুলের মা সাহেরা বেগম পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পাঁচবিবি থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে এই চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ হত্যা মামলায় স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
অপরদিকে জয়পুরহাট র্যাব-৫ ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর পাঁচবিবির চেঁচড়া এলাকা থেকে ১১৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সুজন সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্টপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল। রায় ঘোষণার পর আসামিদের জয়পুরহাট কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন