পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রশাসনের উচ্ছেদকৃত সরকারি খাসজমি ফের দখল করে প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা কেএম সহিদুল ইসলাম খলিলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি সদর ইউনিয়ন (শ্রীরামপুর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এদিকে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রীরামপুর মৌজার ২নং খাস খতিয়ানের ১৯৬৮নং প্লটে আগে থেকেই দখলে থাকা অন্তত ৪-৫টি টিনের দোকানের পেছনে ফাঁকা অংশটুকুও এবার দখল করতে কাঠ, বাঁশের খুঁটি ও টিনের ছাউনি-বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। খবর পেয়ে স্থানীয় ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোশারফ ও নাজির মনিরুজ্জামান সরেজমিন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। এরইমধ্যে ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। প্রকাশ্য দিনের বেলায় উপজেলা শহরে এমন দখলদারিত্বে হতবাক সবাই।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, দুমকি উপজেলা শহরের পীরতলা খালের সরকারি রেকর্ডিও ২নং খাস খতিয়ানের ১৯৬৮ নম্বর দাগের অন্তত ১০ শতাংশ জমি দখল করে দোকান বসিয়ে গত ২০ বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছেন আ. লীগ নেতা খলিল। পূর্বে দখলকৃত ওই স্টলের পাশের ফাঁকা খাস জমিটুকু দখলে রাখতেই ফের দোকানঘর নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৭ সালে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে ওই ফাঁকা জায়গাটি দখলমুক্ত করে স্থানীয় প্রশাসন। তৎকালীন ইউএনও ও দায়িত্বরত এসিল্যান্ড অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত খাস খতিয়ানের প্লটটির অবৈধ দোকান ভেঙে দেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে খলিল ও তার সহোদরদের সার্বক্ষণিক তদারকিতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক দোকান নির্মাণ করছেন।
তবে অবৈধ দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে আ.লীগ নেতা খলিলের ভাই নাসির উদ্দিন খান বলেন, আমাদের পৈতৃক রেকর্ড সম্পত্তিতে এখন খাল রয়েছে। তাই আমরা খালের ভরাটকৃত সমপরিমাণ জমিতে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছি। এখানে অবৈধ দখলের অভিযোগ সঠিক নয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনামিকা নজরুল বলেন, আমি ছুটিতে দুমকির বাইরে আছি। মোবাইল ফোনে অভিযোগ পেয়ে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন