কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩, ০৩:৩৮ পিএম
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৩, ০৩:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্মাণের ১০ দিনেই ভেঙে গেল ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক!

ভেঙে গেছে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক। ছবি : কালবেলা
ভেঙে গেছে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক। ছবি : কালবেলা

ঢাকার দোহার উপজেলায় নির্মাণের ১০ দিনের মধ্যেই ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে গেছে। উপজেলার মাঝিরচর বাজার, কুলচুরি, দেবীনগর, জয়পাড়া-কাজিরচর সড়কে ৬ কোটি ৬৮ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬০ মিটার আরসিসি ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের ১০ দিনের মধ্যেই ভেঙে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রথমে কাজের ধীরগতি, পরে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ ও এলজিইডির সঠিক তত্ত্বাবধান না থাকায় নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে দোহার উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০২১-২২ অর্থবছরের কাজটির ট্রেন্ডার পায় এম.এম. বিল্ডার্স। ২০২২ সালের ২৩ ফ্রেব্রুয়ারি এম.এম. বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেড ব্রিজটি নির্মাণকাজ শুরু করে। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী চলতি বছরের ১২ জুলাই কাজ শেষ করার কথা। কাজ শুরুর দিকে ধীরগতি ছিল। কিন্তু সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য শেষের দিকে এসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি করে কাজটি সম্পন্ন করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬০ দশমিক ৫ ফুট দীর্ঘ আরসিসি ব্রিজের দুই পাশের অ্যাপ্রোচের চারদিকের সড়ক বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে। এ ছাড়া ব্রিজের গোড়ায় বাঁধাই করা ব্লক সরে গেছে, সড়ক ফুটো হয়েছে। ব্রিজের পশ্চিম দিকের বাম পাশের অ্যাপ্রোচের পুরো মাটি বৃষ্টিতে সরে গেছে। ফলে বর্ষাকালে রাস্তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. রফিক মোল্লা জানান, ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ব্রিজের ঢালের রাস্তার পাশ দিয়ে পানি নেমে মাটিসহ ব্লক সরে রাস্তা ভেঙে গর্ত ও নালা হয়ে গেছে। যদি এখনই সড়কটি ভেঙে যায়, তাহলে বর্ষাকালে তো কিছুই থাকবে না।

শরিফুল হক রাজন নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়মমাফিক কাজ না করা, অ্যাপ্রোচে মাটি দিয়ে রুলিং ঠিকমতো না করা, গাইড ওয়াল না দেওয়া, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রাখায় এবং এলইজিডির সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে এভাবে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে।

দোহার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী হানিফ মোহাম্মদ মুর্শেদী জানান, এই ব্রিজের কাজের ফাইনাল বিল এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়নি। ফাইনাল বিলের আগে আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মেপে এবং বুঝে নেব। তারপর বিল দেওয়া হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আগেই সব ঠিক করে আমাদের বুঝিয়ে দেবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এসিআই-এ নিয়োগ, আবেদন করুন অনলাইনে

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

বসতভিটা ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি, সন্তানের বিরুদ্ধে বাবার মামলা

ব্রাজিলের মন্ত্রীর মার্কিন ভিসা বাতিল, দায়িত্বজ্ঞানহীন বললেন লুলা

ভিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ, কী বললেন প্রক্টর

শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক

২৭ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

২৭ আগস্ট : টিভিতে আজকের খেলা 

আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ

২৭ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১১

কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান কিটোনকে সংবর্ধনা দিল এ্যাব

১২

মাছ ধরার নৌকায় মিলল সাড়ে ৪ লাখ পিস ইয়াবা, আটক ৯

১৩

ভোলায় নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল / এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

১৪

যৌথ বাহিনীর অভিযানে অনলাইন জুয়া চক্রের ২ সদস্য আটক

১৫

জেলেরা হেলমেট পরে মাছ ধরেন যেখানে

১৬

বিমানবাহিনীর আন্তঃঘাঁটি স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

১৭

স্পেনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

১৮

কারাগারে সন্তান জন্ম দিলেন হত্যা মামলার আসামি

১৯

সিলেটের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় সিআইডির অনুসন্ধান শুরু

২০
X