রাজশাহীতে সড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া-তানোর সড়কের বাগসারা ও বাগধানীর মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এ সময় দেশীয় অস্ত্রসহ অন্তত ১৫ জন ডাকাত সড়ক অবরোধ করে একাধিক যানবাহনে ডাকাতি করে।
আক্রান্ত যানবাহন চালকরা অভিযোগ করেন, পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলেও কোনো সহায়তা মেলেনি।
ভুক্তভোগী চালকরা আরও জানান, বায়া-বাগসারা সড়কটি ডাকাতিপ্রবণ এলাকা হলেও গত দুই দশকে এভাবে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে ডাকাতির সময় একটি প্রাইভেটকারের চালক ঘটনাটির আংশিক ভিডিও করতে সক্ষম হন।
ভিডিওতে দেখা যায়, একই ধরনের পোশাক পরা সশস্ত্র ডাকাতরা একেকটি গাড়ির সামনে যাচ্ছে এবং লুট করছে।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, দুজন ডাকাত একটি গাড়ির সামনে টর্চ লাইটের আলো ফেলছে। অন্য দুজন ডাকাত চালকের কাছ থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নিচ্ছে। সামনের গাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে দেখে একজন গাড়িচালক তার গাড়ি পেছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুজন ডাকাত তাকেও ধাওয়া করে।
সড়কটিতে ডাকাত দলের কবলে পড়া নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার নাকইল গ্রামের ব্যবসায়ী এনামুল হক জানান, তানোর উপজেলা সীমানার মধ্যে গাড়ি নিয়ে ঢোকার আগে তিনি দেখতে পান, সামনে কয়েকটি মাছবাহী মিনিট্রাক, পিকআপ ও সিএনজি দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমে ভেবেছিলেন সামনে হয়তো যানজট লেগেছে। তাই ডান পাশ দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলোকে অতিক্রম করার চেষ্টা করেন তিনি।
এ সময় ডাকাতদলের কয়েকজন সদস্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার গাড়িটি ঘিরে ধরে। তারা গাড়ির গেট খোলার জন্য চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু এনামুল হক গেট না খুলে গাড়িকে পেছন দিকে নিতে থাকেন। এরই মধ্যে পেছন থেকে আরেকটি প্রাইভেটকার তার গাড়ির পেছনে চলে আসে। ডাকাতরা গেট খুলে দেওয়ার জন্য বললে গাড়ির চালক তুহিন আলীও গেট না খুলে পেছনে যেতে থাকেন। এ সময় ডাকাতদলের সদস্যরা গাড়িতে হাঁসুয়া ও রামদা দিয়ে হামলা করেন। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তুহিন। তবে তার গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এনামুল দাবি করেন, প্রথমবার ঘটনাস্থলে তিনি ১৫ থেকে ২০ জন ডাকাত দেখেছেন। সবার হাতেই দেশীয় অস্ত্র ছিল। এ ঘটনায় ১০ থেকে ১২টি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সড়কে গণডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পবা থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা জানা নেই। আমরা সারারাত ডিউটি করেছি। ঘটনার বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’
মন্তব্য করুন