বগুড়া শহরে পুলিশ ফাঁড়ির সামনের মোবাইল মার্কেটের একটি দোকান থেকে প্রায় ৪২ লাখ টাকার মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মার্কেটের এক নৈশ প্রহরীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে টিএমএসএস মোবাইল মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ‘প্লাস মোবাইল কেয়ার’ নামের দোকানে এই চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা দোকানের সার্টারের (দরজা) তালা খুলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৭০ পিস মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
দোকানটির মালিক মিল্টন সাহা জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দোকানে তালা দিয়ে তিনি বাসায় যান। রাত ১১টার দিকে মার্কেটের নৈশপ্রহরী তাকে ফোনে জানান যে দোকানের সার্টার খোলা। এই খবর পেয়ে তিনি রাতেই মার্কেটে যান। গিয়ে দেখেন দোকানের সার্টার খোলা এবং সেখানে লাগানো তালাগুলোও নেই। দোকানে ঢুকে দেখেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নতুন ৭০টি এবং ১০০টি পুরাতন মোবাইল ফোন সেট খোয়া গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪২ লাখ টাকা।
ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, নবাববাড়ি সড়কে সদর পুলিশ ফাঁড়ির বিপরীতে পাঁচতলা বিশিষ্ট মোবাইল মার্কেটের দোতলায় মোবাইল ফোনের ৩০টি দোকান রয়েছে। মার্কেটের নিরাপত্তায় তিনজন নৈশপ্রহরী দায়িত্ব পালন করেন। নিয়মানুযায়ী রাত ১০টার মধ্যে সব দোকান বন্ধ হয়ে গেলেও রাত ১২টা পর্যন্ত মার্কেটে লোকজন থাকে। চুরি যাওয়া দোকানে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও সেগুলো আগে থেকেই বিকল ছিল। এছাড়া মার্কেটের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও অনেকদিন ধরে নষ্ট।
পুলিশের হেফাজতে থাকা মার্কেটের নৈশপ্রহরী আজমির হোসেন জানান, মার্কেটের সব দোকান বন্ধ হলে রাত ১১টার পর রাউন্ড দিতে গিয়ে দোতলায় ওই দোকানের সার্টার খোলা দেখতে পান। পরে দোকান মালিক এবং পুলিশে সংবাদ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আমি ডিউটিতে আসি। তখনো মার্কেটে অনেক লোকজন ছিল। এই সময়ের মধ্যে সন্দেহজনক বা অপরিচিত কাউকে মার্কেটে দেখা যায়নি।’
বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সুজন মিঞা জানান, রাতেই চুরি যাওয়া দোকান পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি রহস্যজনক মনে করা হচ্ছে। কারণ ওই মার্কেটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া রাত ১২টা পর্যন্ত সেখানে লোক সমাগম থাকে। এর মধ্যে চুরি এবং দোকানের তালা উধাও হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নৈশপ্রহরী আজমির হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন