সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শুস্ক মৌসুমে যমুনার ভাঙন, অর্ধ-শতাধিক বাড়িঘর বিলীন

শুস্ক মৌসুমেও যমুনায় ভাঙন। ছবি : কালবেলা
শুস্ক মৌসুমেও যমুনায় ভাঙন। ছবি : কালবেলা

শুস্ক মৌসুমেও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যমুনায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ১৫ দিনের ভাঙনে প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী, জালালপুর ও কৈজুরী ইউনিয়নে যমুনা ডানতীরের সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন চলছে। ধারাবাহিক ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ১০টি গ্রামের হাজার হাজার বাড়ি-ঘর ও কয়েকশ একর ফসলি জমি। বিলীন হয়েছে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাটবাজারসহ বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।

সম্প্রতি শুস্ক মৌসুমেও জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর ও খুকনী ইউনিয়নের সৈয়দপুর এবং পারা মোহনপুর এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে এ অঞ্চলের অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন আতংকে রয়েছে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা।

জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের বাল্কহেড এনায়েতপুর থেকে পাচিল হয়ে যাতায়াত করে। প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ বাল্কহেড ওই পথে যাতায়াত করে। শুস্ক মৌসুমের কারণে কোথাও বাল্কহেড আটকে গেলে রাতে ড্রেজার নিয়ে এসে সেখানে গভীর করে। এভাবে যমুনা নদীর এ অঞ্চলে গভীর ক্যানেল তৈরি হয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।

একই এলাকার মো. ফজলু, আলহাজ আলী ও নুরুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলে নদীভাঙন রোধে সাড়ে ৬শ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ১৭টি প্যাকেজের মধ্যে কিছু কিছু ঠিকাদার ব্লক তৈরি করছে। কিছু কিছু ঠিকাদার কিছুই করেনি। অনেক ঠিকাদার এলাকাতেও আসেনি। জালালপুর এলাকায় ১০ নম্বর প্যাকেজ (জালালপুর) থেকে পাচিল পর্যন্ত দক্ষিণ দিকে কোনো কাজই হয়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনার ডানতীর রক্ষায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার তীর প্রতিরক্ষা বাঁধসহ ৩৩শ মিটার নদী ড্রেজিং কাজ করছে। এরইমধ্যে ড্রেজিং শেষ হওয়ায় তিন কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে ২ কিলোমিটার এলাকায় কিছুটা ভাঙন দেখা গেছে। বিভিন্ন নৌযানের ঢেউয়ের কারণে ভাঙন হচ্ছে। ঠিকাদারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামনের বর্ষার আগেই জিওব্যাগ, সিসিব্লক সেই সঙ্গে জিওটিউব দিয়ে এলাকাগুলো মুড়িয়ে রাখব।

তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে প্রকল্পের ৪০ ভাগ শেষ হয়েছে। এই অর্থবছরে ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করতে পারব বলে আশা করছি। বর্ষার আগেই বড় একটা এচিভমেন্ট আমরা চাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হোয়াইটওয়াশের পর নিজের ভবিষ্যৎ বোর্ডের হাতে ছেড়ে দিলেন গম্ভীর

ভূমিকম্প / ঢাবির ৬ হলে কারিগরি নিরীক্ষণ ও মূল্যায়ন সম্পন্ন

গণসংযোগে জনস্রোত, আলিঙ্গনে সিক্ত নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

শিবির করায় ছাত্রত্ব বাতিল, একযুগ পর মাস্টার্সে পেলেন সিজিপিএ-৪

মানহানিকর বক্তব্য প্রচার নিয়ে আলী রীয়াজের বিবৃতি

১৪ দিন ধরে বন্ধ সোনাহাট বন্দর

ফেসবুকে নতুন সুবিধা, পরিচয় গোপন রেখেই আলোচনায় অংশ নেবেন যেভাবে

নিজ এলাকায় মিন্টুকে বরণ করতে উন্মুখ নেতাকর্মীরা

দুই দিন ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না তিন এলাকায়

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের নিচে নামল ভারত

১০

১৭ বছর পর প্রবীরের অশ্রুভেজা প্রত্যাবর্তন

১১

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর রেলওয়ের চার কর্মকর্তাকে বদলি

১২

গ্রুপ চ্যাট চালু করল চ্যাটজিপিটি, জানুন ব্যবহার

১৩

অপহরণের পর ৪০ হাজার টাকা দাবি, না পেয়ে কিশোরকে হত্যা

১৪

কায়কোবাদকে নিয়ে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতিবাদ

১৫

নতুন ইউএনও ১৬৬ উপজেলায়

১৬

খাজা এনায়েতপুর দরবার শরিফের পীরের ইন্তেকাল

১৭

বিপিএল নিলামে ২৫০ বিদেশি—প্রতি দলে খরচ ৯ কোটি

১৮

একটি দল দেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল 

১৯

প্রথম নারী পুলিশ সুপার পেল বরিশাল

২০
X