টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া টানা কয়েকদিনে ভারি বর্ষণে জেলায় সদর উপজেলাসহ নাগরপুর, ভুয়াপুর, গোপালপুর, বাসাইল ও মির্জাপুরের নিম্নাঞ্চলের মানুষ বিপাকে পড়েছে।
এদিকে ধলেশ্বরী নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ঝিনাই নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে টাঙ্গাইলের সব নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কিছু কিছু স্থানে ছুঁইছুঁই করছে।
সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বলেন, আমার এ ইউনিয়নটা বহুকাল ধরেই রাক্ষুসী যমুনায় গ্রাস করতেছে। যমুনা বর্ষার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভাঙাভাঙির মধ্যেই আছে আমাদের এ ইউনিয়ন।
তিনি বলেন, বর্তমানে যমুনা নদীর পানি কয়েকদিন ধরে বাড়তে শুরু করছে। এর ফলে ভাঙনও শুরু হয়েছে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে আশ্বাস দিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।
এ ছাড়া সদর উপজেলার যমুনা নদীর পাড়ঘেঁষা হুগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর-ই আলম তুহিন বলেন, আমার ইউনিয়ন যমুনা নদী সংলগ্ন হওয়ায় দ্রুত পানি প্রবেশ করে। এতে চরম বিপাকে পড়ে স্থানীয়রা। যার ফলে ইউনিয়নবাসীর চলাচলের জন্য এরই মধ্যে ১০টি কাঠের সাঁকো তৈরি করেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাখিল রায়হান বলেন, যমুনা নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দু-তিন দিন পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া টানা কয়েকদিনে ভারি বর্ষণে জেলায় সব নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যমুনাসহ সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন