নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে ছাড় দেবে না নির্বাচন কমিশন। বড় ধরনের ঘটনা ঘটলে তা বন্ধ করে দিতে পারবে দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া একজনের ভোট অন্য জন দিতে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, নির্বাচন প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষতার স্বার্থে সরকার সকল স্থানীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রতীকে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামীতে উপজেলা নির্বাচনও একই প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ হবে। এর ধারাবাহিকতায় উপনির্বাচনে দলীয় কোনো প্রতীক রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে বদ্ধপরিকর। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এই নির্বাচন কমিশন দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে রেজাল্ট শিটে সব প্রার্থীর স্বাক্ষর নেওয়া বাধ্যতামূলক। এ কাজে কেউ গাফিলতি করলে নির্বাচন কমিশন মেনে নেবে না। এ ছাড়া আমাদের স্মার্ট ইলেকশন অ্যাপস রয়েছে। যেখানে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর কোনো কেন্দ্রে কতটি ভোট পড়েছে তা আপলোড দিতে হবে। এই কাজে কোনোরকম কালক্ষেপণ করা যাবে না। নির্বাচনে প্রশাসন থেকে শুরু করে সবাই নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবে। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, কিছু দুষ্টু লোক আছে যারা কেন্দ্রে ঢুকে ভোট কারচুপির চেষ্টা করবে। এ রকম ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান প্রমুখ।
এর আগে বেলা ১০টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপনির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
মন্তব্য করুন