বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্নে হাসছেন চাষি জসীম উদ্দিন। তার চাষকৃত জমিতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এখন সূর্যমুখীর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ও ছবি তুলতে ভিড় জমাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাষি জসীম উদ্দিন চাঁদপুর মতলবের দেওয়ানজিকান্দি গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সূর্যমুখীর আবাদ করেছেন। তিনি হাইসেন জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন।
মতলব উত্তরের কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশীয় ঘানি ব্যবহার করলে পরিপক্ক সূর্যমুখী ফুলের বীজ থকে তেল ভাঙানো যায়। আর স্বাস্থ্য ঝুঁকিও এই তেলে কম।
এ বিষয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। গত বছরেও আমি প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীর চাষ করে লাভবান হয়েছিলাম। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এ বছরও লাভবান হবে। আগামী দিনেও সূর্যমুখীর চাষ আরও বাড়াতে চাই।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে আগামী দিনে উপজেলার অন্যান্য এলাকায় যাতে এ সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যায় সেজন্য কৃষকদের বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। অন্যান্য তেলের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলের তেলের চাহিদা সব স্থানেই বেশি। তাই আমরা এ তেলজাতীয় ফসল সূর্যমুখী চাষবাদে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন