ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে (মসিক) উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চললেও ভোগান্তিতে পড়েছেন বয়স্ক ভোটারা। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আঙুলের ছাপ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাদের অনেকে। নগরীর বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। এতে ভোটগ্রহণে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে অনেক ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে বলা হচ্ছে। আবার অনেকের তিন থেকে চারবার চেষ্টায় আঙুলের ছাপ মিলেছে।
সকালে এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েন ৫৫ বছর বয়সী রাবেয়া খাতুন। তিনি বলেন, সকালে ভোট দিয়ে এসে দেখি আঙুলের ছাপ কাজ করছে না। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ভোট দিয়েছি। আমার মতো আরও অনেকে এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নুরুল হক বলেন, বেশ কয়েকজন বয়স্ক ভোটারের হাতের আঙুলের ছাপ কাজ করেনি। তবে ছবি মিলিয়ে আমরা তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। তেমনি প্রিমিয়ার আইডিয়াল কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন আনোয়ারা বেগম। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আঙুলের ছাপ না মেলায় তিনি সমস্যায় পড়েন। তার ছাপ মেলাতে গিয়ে এ বুথে ভোটগ্রহণে ধীরগতি দেখা দেয়।
ইভিএমে ভোটগ্রহণে ধীরগতি নিয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, অনেক ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে হচ্ছে। একজন ভোটার দুই থেকে তিন বার যদি এই বিড়ম্বনায় পড়ে তাহলে ভোটার উপস্থিতিতে প্রভাব পড়তে পারে। বিষয়টির ব্যাপারে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু (টেবিল ঘড়ি), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম (ঘোড়া), সাদেক খান মিল্কী টজু (হাতি), কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য রেজাউল হক (হরিণ) এবং জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল (লাঙল)।
মন্তব্য করুন