রাজশাহীতে সাত বছরের এক কন্যাশিশুকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত নাদিম ইসলাম (২১) রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাক্টর চালক। রায় ঘোষণাকালে তিনি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর কোর্ট পুলিশ তাকে আদালত থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে নাদিম ইসলাম ফাঁকা বাড়িতে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিশুকন্যাকে একা পেয়ে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। যৌন নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর বাবারই ট্রাক্টর চালাতেন তিনি। এ জন্য ওই বাড়িতে তার সবসময়ই যাতায়াত ছিল। যাতায়াতের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ ঘটনা ঘটান তিনি। ঘটনার সময় ওই শিশুর চিৎকারে তার মা এবং প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং নাদিমকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রোববার আদালতের বিচারক এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইবুন্যাল আদালত-২ এর পিপি অ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি বলেন, ভুক্তভোগী শিশু প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। তার বয়স মাত্র সাত বছর। ঘরে আটকে তাকে ধর্ষণের যে ঘটনা, সেটি খুবই ন্যক্কারজনক। মামলাটির দ্রুত রায় হওয়ায় বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
মন্তব্য করুন