বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে সংগঠনের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসাধীন রোগীরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১টা থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেন তারা।
জানা যায়, মঙ্গলবার ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের পৃথক দুটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম। দুটি কমিটিতে পদ বঞ্চিত এবং প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরু করেন। ফলে হাসপাতালের ৯টি ইউনিটের চিকিৎসাসেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে কমিটি সমর্থকরা দায়িত্ব পালন করে মেডিসিন ওয়ার্ডের ৩টি ইউনিট সচল রেখেছেন। শেবাচিম হাসপাতালে ১৯০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক পালাক্রমে এ দায়িত্ব পালন করেন।
আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ সভাপতি সাদমান বাকির সাবাব বলেন, ‘ঘোষিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির পদধারী ১৮ জন ওই কমিটির বিপরীতে অবস্থান করছেন। তাই কমিটির গ্রহণযোগ্যতা থাকার প্রশ্নই আসে না। কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সেবায় ফিরবেন না।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন দাবি করে বলেন, ‘কমিটি সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। যারা আন্দোলন করছেন তারা সভাপতি-সম্পাদক পদ চাচ্ছেন। যোগ্যতার বিচারে এ কমিটি হয়েছে। সাধারণ চিকিৎসকরা কমিটির নেতৃত্ব মেনে কাজ করছেন। সুতরাং চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে না।’
বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. রেজা তৈমুর মাহমুদ বলেন, ‘সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) সুপারিশে কমিটি হয়েছে। হাসপাতাল পরিচালক অনুমোদন দিয়েছেন। ওই অনুমোদনের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। কমিটির বিরোধীতাকারী একটি পক্ষ ধর্মঘটে গেলেও সাধারণ চিকিৎসকরা তাতে সাড়া দেননি।’
একই সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসান শাহরিয়ার বলেন, ‘সিটি মেয়রকে ভুল বুঝিয়ে সুপারিশ আনা হয়েছে। এতে মদদ দিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম। আমরা এই পকেট কমিটি মানি না। মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের দুটি কমিটি সুপারিশ করেছেন সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে তিনি মঙ্গলবার দুটি কমিটি অনুমোদন দেন। এতে পদ বঞ্চিতরা ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।’
পরিচালক আরও বলেন, ‘কমিটি সমর্থক চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন। একাংশের ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন