নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরী বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী বলেন, অভিযুক্ত যুবকের নাম আলম মিয়া (৩৫)। সে কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের আবুল হাসেমের প্রতিবন্ধী মেয়ের জামাই।
বুধবার (২০ মার্চ) ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, নেত্রকোনা জেলা মোহনগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামের লাউছ মিয়া ছেলে আলম মিয়া। সে কেন্দুয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করায় পরিচয় হয় ভুক্তভোগীর সঙ্গে। পরে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে মোবাইল ফোনে রেখে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম যাতে ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে কিছু না বলে সেই জন্য ওই ভিডিও দেখিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এরই মধ্যেই ওই কিশোরী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত আলম মিয়া এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবক আলম মিয়ার প্রতিবন্ধী স্ত্রীর বড় ভাই শিবপুর গ্রামের আল আমিন মিয়া জানান, আমার বোন প্রতিবন্ধী হওয়ায় এই সুযোগে আলম মিয়া ভুক্তভোগীর সঙ্গে এমন জঘন্য কাজ করেছে। আমি এই জঘন্য ঘটনার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, উক্ত ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন