কম খরচে সরিষার বাম্পার ফলনে মুখে হাসি ফুটেছে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ার চাষিদের। এ বছর ভালো আবহাওয়া, সঠিক পরিচর্যা ও অল্প সময়ে আশানুরূপ ফলনে চলতি মৌসুমে লাভবান হয়েছেন চাষিরা।
উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মাধবপুর, মনগোজ, নুনহাটি, বাড়ানী, জামতলী, ষাইটশালা ও শশীদল ইউনিয়নের হরিমঙ্গল, তেঁতাভূমি এবং মালাপাড়া ইউনিয়নের মালাপাড়া, রামনগর, চন্ডিপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় অন্তত ১৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এ বছর কৃষি অফিস থেকে এক হাজার ৪০০ কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার বিতরণ করেছি।
উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের দক্ষিণ তেঁতাভূমি গ্রামের কৃষক এনামুল বলেন, জমি তৈরি করা থেকে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত ১৪ বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। এবার প্রায় ৫০ মণ সরিষা হয়েছে। বাজারে তেলের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় প্রতি মণ সরিষা ২ হাজার ৯০০ থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বছর প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করেছি।
একই এলাকার আরেক কৃষক মোসলে উদ্দিন বলেন, অন্য ফসলের মতো সরিষা চাষে তেমন কষ্ট করতে হয় না। এতে সময়ও কম লাগে। জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ ও মাড়াই করে ফসল ঘরে তোলার জন্য পরিবারের পুরুষ সদস্যের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে এসেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় সবাই খুশি।
আসাদনগর এলাকার কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, অল্প খরচ ও কম সময়ে সরিষা ঘরে তোলা যায়। এ বছর ২৭ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বর্তমান বাজারদর একটু কম। রোদে শুকিয়ে পরে বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা কালবেলাকে বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন ব্রাহ্মণপাড়ার চাষিরা। বিঘাপ্রতি মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ করে পাঁচ থেকে ছয় মণ সরিষা পেয়েছেন। অল্প খরচে বেশ লাভবান হয়েছেন। আগামী মৌসুমে সরিষার আবাদ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন