কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে মোস্তাকিমের সাফল্য

মাচায় ঝুলে রয়েছে শসা। ছবি : সংগৃহীত
মাচায় ঝুলে রয়েছে শসা। ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রবাসফেরত কৃষক মোস্তাকিম সরকার মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করে এক অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন।

জেলার আখাউড়া উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে তিনি দেশীয় পদ্ধতিতে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে বাণিজ্যিকভাবে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করছেন। একদিন পর পর জমি থেকে ৩০-৩৫ মণ শসা বিক্রি করছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে এবং বাজার দর ভালো থাকলে ৩-৪ লাখ টাকা বিক্রি হবে। এতে খরচ বাদে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় হবে।

জানা গেছে, মোস্তাকিম সরকার জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউপির ধাততুর পহেলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম সরকারের ছেলে। ৪ বছর আগে তিনি সীমান্তবর্তী মোগড়া ইউপির ৩ বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ শুরু করেন।

মোস্তাকিম জানান, অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ৩ বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে শসা আবাদ করতে জমি ইজারা, পরিচর্যা, সেচ, বীজসহ অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। চারা রোপণের পর থেকে দেড় মাসের মধ্যে জমিতে শসার ভালো ফলন আসে। বর্তমানে একদিন পর পর ৩০-৩৫ মণ শসা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শসার ভালো চাহিদা থাকায় পাইকারি দরে এক মণ শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছি। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করা হয়েছে। আশা করছি, ফলন ও বাজার দর ভালো থাকলে সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা বিক্রি হবে। এতে খরচ বাদে ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় হবে।

সরজমিনে দেখা গেছে, বাঁশের খুঁটি, নাইলন সুতা আর জিআই তার দিয়ে চারদিকে মাঁচা তৈরি করা হয়েছে। ছোট বড় অসংখ্য শসা মাচায় ঝুলে আছে। যে দিকে তাকানো যায় শসা আর শসা।

জানা যায়, মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমে জমিতে পরিমিত জৈব সার দিয়ে সারি সারি বেড তৈরি করা হয়। পরে সারিবদ্ধ বেডগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। বেডে নির্দিষ্ট দূরত্বে পলিথিন ফুটো করে সবজির বীজ বা চারা রোপণ করতে হয়। এ পদ্ধতিতে কৃষকের উৎপাদন খরচও তুলনামূলক অনেক কম হয়।

মোস্তাকিম সরকার আরও জানান, এ মাটিতে সবজি চাষ নিয়ে শুরুতে খুবই চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতা, পরামর্শ ও নিজের সঠিকভাবে পরিচর্যায় উৎপাদনে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। সবজি চাষে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি।

এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম গণমাধ্যমকে বলেন, ফলন বৃদ্ধিতে সব সময় স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। মালচিং পদ্ধতিতে শসা আবাদ করে সত্যিই কৃষক মোস্তাকিম সরকার একজন আদর্শ কৃষককে পরিণত হয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি : আমিনুল হক

মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প

নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন আনচেলত্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ ও প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত

ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে

পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগে মিলল নবজাতকের মরদেহ

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

১০

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

১১

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

১২

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

১৩

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১৪

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

১৫

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

১৬

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

১৭

নিষিদ্ধ হওয়া ভিডিও নির্মাতাদের সুখবর দিল ইউটিউব

১৮

জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে জামায়াতের অংশগ্রহণ

১৯

‘ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াও আমাদের দিনে দাঁড়াতে পারবে না’ 

২০
X