কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত ৮ জনকে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং বাদিবন্যা পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গল কাটতে ও গরু চরাতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন তারা।
এর আগে মঙ্গলবার হোয়াইক্যং কম্বনিয়া পাহাড়ি এলাকায় গরু চরাতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন দুজন।
বুধবার রাত ১১টার সময় টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে পাহাড়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বর্তমানে ওই ১০ জন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে বলে জানান স্বজনরা।
ফেরত আসা শাকিলের পিতা লেদু মিয়া বলেন, রাত ১১টার সময় ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেলেকে ফেরত দিয়েছে অপহরণকারীরা। মানুষের কাছ থেকে ধার করে টাকা এনে অপহরণকারীর হাত থেকে ছেলেকে ছাড়িয়ে এনেছি।
হোয়াইক্যং কানজর লাকার গ্রাম পুলিশ শেখ কবির জানান, ১০ জন কিশোর ও যুবক পাহাড়ে কাজ করতে যায়। অপহরণকারীরা তাদের অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ১০ জনকে রৈক্ষ্যং ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করা নিয়ে আসে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, ২০১৭ সালে যখন রোহিঙ্গা বাংলাদেশ এসেছে এরপর থেকে খুন অপহরণ বেড়েই চলছে। আমাদের ইউনিয়নের মানুষের জীবিকা নির্বাহ করার একমাত্র উপায় নাফনদে, পাহাড় ও ক্ষেত খামার। অপহরণের কারণে আতঙ্কে পাহাড়ে যেতেও পারছে না এখন কেউ।
মন্তব্য করুন