কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভূমি অফিসের সেই সহকারী বরখাস্ত

ভূমি অফিসের সহকারী আবদুল কাদির। ছবি : কালবেলা
ভূমি অফিসের সহকারী আবদুল কাদির। ছবি : কালবেলা

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী আব্দুল কাদিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ভূমি অফিসের অফিস সহায়ককে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে গুনে গুনে টাকা নিচ্ছেন। ভিডিও প্রকাশের পর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। ব্যাখ্যা পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি বিধায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহানকে এক সদস্যের তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অফিস সহকারী আব্দুল কাদির দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী। সেই কারণে প্রতিনিয়ত ভূমি অফিসে হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ তো দূরের কথা সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কোনো কথাই বলেন না তারা।

সম্প্রতি ভূমি অফিসের অফিস সহকারী আব্দুল কাদির মিয়ার নিজ দপ্তরে বসে সেবাগ্রহীতাদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ (ঘুষ) গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি তার দপ্তরে বসে প্রকাশ্যে সেবা নিতে আসা ভোলা মিয়ার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা গুনে নিচ্ছেন। ভোলা মিয়া বলছেন, সকল খারিজ সমান নয়। গরিব মানুষ কাজটা করে দেন। প্রতি উত্তরে আব্দুল কাদির বলছেন, কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দেবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে না। এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে নেন আব্দুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় ভোলা মিয়া আবারও বলেন, আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন। একটা বিহিত (ব্যবস্থা) হবে। আপনি কাজটা করে রাখুন।

ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর অভিযুক্ত আব্দুল কাদিরের কাছে তিন কার্য দিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সরেজমিনে জানা যায়, আব্দুল কাদিরের শুধু গ্রামে নয় ঢাকাতেও বাড়ি রয়েছে। গ্রামের এই সুসজ্জিত বাড়িটিতে নিরাপত্তারও কোনো কমতি রাখেননি। ১৯৯৭ সালে পল্লীবিদ্যুতের চাকরি ছেড়ে ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক চাকরিতে যোগদান করেন আব্দুল কাদির। এরপর থেকে ফুলে ফেঁপে বাড়তে থাকে অর্থ সম্পদ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি দ্রুত করতে সব রাজনৈতিক দলের আবেদন

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

নেতানিয়াহুর ‘দুর্বল’ মন্তব্যের শক্তিশালী জবাব দিল অস্ট্রেলিয়া

এ যেন বক-পানকৌড়ির অভয়ারণ্য

সিপিএলে ব্যাট হাতে সাকিব ব্যর্থ হলেও জয় পেয়েছে দল

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবির প্রতিবাদে মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

লুটের ২ শতাংশ পাথরও উদ্ধার হয়নি

ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে অবস্থান

রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

যে কারণে লিগস কাপের কোয়ার্টারে ছিলেন না মেসি

১০

এইচএসসি পাসেই প্রাণ গ্রুপে চাকরি, পদ ৫০

১১

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সেনাবহর

১২

কৃষককে কুপিয়ে জখম, আটক ২

১৩

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস 

১৪

ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের জন্য বিশেষ সেবা চালু

১৫

সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, মরদেহ মিলল প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেটে

১৬

সুয়ারেজের দুই পেনাল্টিতে মেসিবিহীন মায়ামির রোমাঞ্চকর জয়

১৭

গাজায় নতুন ধাপে ‘গণহত্যা’ শুরু করল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী

১৮

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  / ওষুধ-চিকিৎসকের সংকটে ভোগান্তিতে রোগীরা

১৯

পাকিস্তানের হুমকির পর ‘অগ্নি ৫’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত

২০
X