বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক শাখার সব কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রমও। একই সঙ্গে জেলা সদরের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ইনচার্জ মোহাম্মদ ওসমান গণি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংকের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনটি উপজেলায় আগের মতো ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এ দিকে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ঈদের এই সময়ে গ্রাহকদের দুর্ভোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এর আগে বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার (এসপি) সৈকত শাহিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুমা সার্কেল মো. জুনায়েদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের অভিযোগ উঠেছে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) মো. দিদারুল আলম বলেন, রুমায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। সোনালী ব্যাংক লুট, ব্যাংক ও ইউএনও অফিসের স্টাফদের মারধর করেছে। ঘটনার পরপরই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তাকর্মীরা টহল কার্যক্রম জোরদার করে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।
তবে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লুটের অনুমান করা হলেও, ঠিক কী পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে একটি সূত্র জানায়, ব্যাংকে টাকা সংরক্ষণ করা লোহার বাক্সের তালা খুলতে পারেনি। মূলত এ কারণে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. নেজাম উদ্দিনকে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বান্দরবানের থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তবে ব্যাংকের ভল্ট এখনো অক্ষত আছে বলে জানিয়েছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন।
তিনি বলেন, দুই ব্যাংক থেকে মোট ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। ডাকাতরা ভল্ট খুলতে পারেনি। কাউন্টারে রাখা টাকা নিয়ে গেছে তারা।
মন্তব্য করুন