তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা কমেছে। এতে শুষ্কতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা বাড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) জেলায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। ফলে বগুড়ায় ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আব্দুর রহমান জানান, এখন দীর্ঘ তাপপ্রবাহ চলছে। গত ১২ এপ্রিল থেকে এ তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। যা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রয়েছে। আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘ এক যুগের মধ্যে বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ২০২৩ সালে এপ্রিল ও মে সাসে। এ বছর সেই রেকর্ড পেছনে ফেলতে তাপপ্রবাহ বেড়েই চলেছে। দীর্ঘ হচ্ছে এ পরিস্থিতি।
উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতকালে শীত বেশি, আবার গ্রীষ্মকালে গরম বেশি হচ্ছে। আবহাওয়া বৈরী হলেও বগুড়ায় গ্রীষ্মকালে গড় তাপমাত্রা দেখা গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৮৯ সালের ২১ এপ্রিল বগুড়ার ইতিহাসে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠলেও এরপর আর তাপমাত্রার পারদ ওই দাগ স্পর্শ করেনি। এর দীর্ঘদিন পর ২০১০ সালের ১১ মে তাপমাত্রা হয়েছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ওই বছরের সর্বোচ্চ হওয়া তাপমাত্রার পাশাপাশি ২১ বছর পর ৪০ ডিগ্রি স্পর্শ করে তাপমাত্রার পারদ। পরে আর ৪০ ডিগ্রিতে ওঠেনি তাপমাত্রা। ২০২৩ সালে ১০ এপ্রিল ৪০ ডিগ্রি, ১০ মে ৪০ ডিগ্রি, ১৬ জুন ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছিল। এ বছর এরইমধ্যে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া দপ্তর।
মন্তব্য করুন