সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। রোববার (৫ মে) সকালে কর্মবিরতির অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ অফিসের ভেতরে মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা ভোগান্তির শিকার হন। ব্যানার আর ফেস্টুনে লেখনীর মাধ্যমে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সকাল ৯টা থেকে সারা দেশের ৮০টি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদমর্যাদা সরকার ঘোষিত গ্রেড অনুযায়ী ৬ মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিএ বোনাস সমহারে না দেওয়া, লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান ও বিলিং সহকারী পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদোন্নতি না করা, লাইনক্রু লেভেল-১ ও মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক), বিলিং সহকারী (কানামুনা) চাকরি নিয়মিত না করা। এ ছাড়া স্মারকলিপিতে অংশগ্রহণ করায় ভোলার এজিএম আইটি ও এজিএম অর্থকে সাময়িক বরখাস্ত, সিরাজগ্ঞ্জ-২ এর ডিজিএম (কারিগরি) এজিএম আইটিকে পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডে সংযুক্ত করায় পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ ও ভবিষ্যতে আধুনিক ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে এ কর্মসূচি পালনের সময় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখা হয়েছে।
সেবা নিতে আসা গ্রাহক আলাউদ্দিন বলেন, সকাল ১০টার সময় আমি একটি অভিযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে আসি। এ সময় কর্মকর্তারা মানববন্ধন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আমার অভিযোগ দাখিল করতে পারিনি। তাই চলে যাচ্ছি। তাদের নাকি কর্মবিরতি চলছে। অনেকেই এভাবে ফিরে গেছেন।
মন্তব্য করুন