পুলিশে চাকরির কথা বলে নানাভাবে প্রলোভন দেখাতেন মো. মামুন ও মাহাবুব আলম। তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিলেই সর্বশান্ত। এমনই এক পরিবার তাদের ফাঁদে পা দিয়ে খুয়িয়েছেন ১২ লাখ টাকা। প্রথমে পুলিশ সদস্য পদে চাকরি দেবে বলে দফারফা হয় ১৭ লাখ টাকায়। তবে শর্ত অনুযায়ী দুই দফায় তাদের অগ্রিম দিতে হয় ১২ লাখ টাকা।
জানা গেছে, গত ২০ মার্চ ভোলায় পুলিশ সদস্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারক মাহাবুবসহ একটি চক্র বোরহানউদ্দিনের বড়মানিকা এলাকার সাইফ উল্যাহ ও ফাইজা দম্পতির ছেলেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এই টাকা হাতিয়ে নেন।
এদিকে পরীক্ষা হওয়ার পর রেজাল্ট দিলে ছেলের চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগীরা। উপায় না পেয়ে থানায় মামলা করেন তারা। পরে পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে দোষীদের ধরতে অভিযান চালায়। বুধবার (১ মে) রাতে গ্রেপ্তার করা হয় মাহাবুব আলমকে। তবে মাহাবুবকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হলেও প্রতারক চক্রের আরেক হোতা মামুন টাকা নেওয়ার পর থেকে লাপাত্তা।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহিন ফকির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রতারণা মামলায় মাহাবুব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর যারা অসদুপায় অবলম্বন করে চাকরি পেতে চান তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, পুলিশ সদস্য পদে চাকরি পেতে ১৬৪ টাকার বাইরে কোনো খরচ নেই।
এদিকে ঘুষ বাণিজ্য অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার বলে মনে করছে সুশীল সমাজ। একইসঙ্গে ঘুষ দিয়ে যারা চাকরি নিতে ছুটছেন তারাও সমান অপরাধী বলছেন তারা।
মন্তব্য করুন