স্বাদে-ঘ্রাণে অনন্য কুষ্টিয়ার কুলফি মালাইয়ের জুড়ি নেই। একবার খেলেই বারবার খেতে ইচ্ছা করে। এর সুখ্যাতি দেশজুড়ে। কুলফির পরশ নিতে দিন দিন ভিড় বাড়ছে মানুষের। কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়িতে এখন আনাগোনা লালসালু মোড়ানো কুলফির হাঁড়িওয়ালাদের। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা কুলফি খেয়ে যেমন তুলছেন তৃপ্তির ঢেঁকুর, তেমনি যারা তৈরি করছেন তারাও লাভের পাশাপাশি মানের ব্যাপারে রয়েছেন বেশ সজাগ।
গরমের মাত্রা যত বাড়ে ততই চাহিদা বাড়ে লালসালু মোড়ানো বড় পাত্রে বরফে ডুবিয়ে রাখা এই মালাইয়ের। তাইতো কুষ্টিয়ার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সামনে সারিবদ্ধভাবে বসে থাকেন মালাইওয়ালারা। এ ছাড়াও কুলফির পাত্র মাথায় করে সারা কুষ্টিয়াতেই ঘুরতে দেখা যায় এদের। এই কুলফির স্বাদের জাদুতেই যেন মুগ্ধ সবাই।
কুলফি তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে গেলেও সনাতন পদ্ধতিতে এখনো বাড়িতেই তৈরি হচ্ছে এই জনপ্রিয় খাবারটি। গরুর দুধ ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা জ্বালিয়ে গাঢ় করার পর এর সরের সঙ্গে চিনি, এলাচ মিশিয়ে তৈরি করা হয় কুলফি মালাই। পরে টিনের কৌটায় ভরে গমের আটা দিয়ে মুখ আটকে বরফ ও লবণে ডুবিয়ে রাখা হয়। পাত্র নাড়া দিলেই বরফে জমতে থাকে মালাই। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে তৈরি হচ্ছে জনপ্রিয় কুলফি।
কুলফি মালাই ব্যবসায়ীদের পাশে কুমারখালী উপজেলা প্রসাশন সবসময় আছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম।
কুষ্টিয়ার এই জনপ্রিয় কুলফি এখন আইস প্যাকে করে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন শহরে। ফলে দিনে দিনে এর কদর বাড়ছে।
মন্তব্য করুন