পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে অক্ষয় পুণ্যলাভের আশায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রমের (Hiscoher) অক্ষয় তৃতীয়াব্রতম সনাতন ধর্ম সম্মেলন ১৪৩১ আয়োজনে ভোর ৫টা থেকে আহ্বানী, সমবেত প্রার্থনা, মঙ্গলঘাট স্থাপন, শ্রী শ্রী বিষ্ণ পূজা, গঙ্গা মায়ের পূজা শেষে সকাল ১০টায় সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ শ্রী শ্রী জয়দেব ঠাকুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঠাকুরের সহধর্মিণী জগৎমাতা হরপ্রিয়া দেবী ও পরমপূজ্যপাদ ঋত্বিক মহারাজ ডা. রাধাস্বামী। সভাপতিত্ব করেন সভাপতি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্রী পরিতোষ রায়।
অনুষ্ঠানে কলাপাড়া পৌর মেয়র শ্রী বিপুল চন্দ্র হাওলাদারের সভাপতিত্বে ভাগবত আলোচনা রাখেন আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রমের সভাপতি এবং বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পরিতোষ রায়, ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান।
ভাগবত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক শ্রী নিহার রঞ্জন। এ ছাড়া (HISCOHER) ভক্ত প্রভাষক শ্রী সঞ্জয় মন্ডল, শ্রী শ্যামল চন্দ্র মালো, শ্রী গোবিন্দ দেবনাথসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত জয়দেব ভক্তরা আলোচনায় যোগ দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনের দায়িত্ব পালন করেন প্রধান শিক্ষক ও সাংবাদিক শ্রী রতন কুমার দাস।
প্রতিবছর দূর-দূরান্ত থেকে সানাতন ধর্মাবলম্বীরা গঙ্গাস্নানে আসেন। হাজারো মানুষের কোলাহলে মুখরিত হয় কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। অনেকেই স্নান শেষে পরিবার নিয়ে গীতা পাঠ করছেন, আবার কেউ প্রার্থনাসহ ধর্মীয় রীতিনীতি মগ্ন হয়েছেন।
ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এদিন গঙ্গাস্নান করলে অক্ষয় পুণ্য অর্জন করা যায়। আবার অনেকেই মনে করেন, এ তিথিতে স্বয়ং নারায়ণের বাস থাকে গঙ্গায়। তাই যদি এ সময় গঙ্গায় স্নান করা হয় তাহলে জীবন থেকে দুঃখ, রোগব্যাধি একেবারে মুছে যায় এবং জীবন সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে।
অনুষ্ঠান শেষে ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। পরে বাস ও গাড়ি করে অক্ষয় তৃতীয়া অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব ভক্তরা খুলনায় আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমে শনি ও রোববার দুদিনব্যাপী অষ্টপ্রহর মহানামযজ্ঞ ও পদাবলী কীর্তন অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
মন্তব্য করুন