কুমিল্লার দেবিদ্বারে তিন দিনব্যাপী শ্রীশ্রী সংযোগানন্দ গিরি মহাত্মার ৯১তম বার্ষিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২১ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ওয়াহেদপুর শ্রীশ্রী সংযোগানন্দ গিরি স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত ধর্মীয় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ এমপি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, সুবিল ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম সারওয়ার মুকুল ভূঁইয়া, নিউ লাইফ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল বাসার সরকার প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে গিরিধামে দ্বিতীয় তলা নতুন ভক্ত নিবাসের উদ্বোধন করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল (সিআইপি)।
শ্রীশ্রী সংযোগানন্দ গিরি স্মৃতি সংসদের সভাপতি শ্রীশ্রী রামানন্দ গিরির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ৭ জানুয়ারি দেবিদ্বারের সর্বস্তরের মানুষের ভোটে আমি নির্বাচিত হয়েছি। আমি আপনাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার এ দেবিদ্বারের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারলে আমি শান্তিতে থাকতে পারি। এই দেবিদ্বারে সব ধর্মের মানুষরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করতে পারে সে দিকে প্রশাসন কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আপনাদের এই মন্দিরের উন্নয়নের জন্য আমি দুই লাখ টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করছি।তিনি বলেন, আপনাদের জন্য আমার দরজা খোলা। আপনারা যখন সমস্যায় পড়বেন আমাকে জানাবেন, আমি সাধ্যমতো আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। আপনারা দীর্ঘদিন এই রাস্তার জন্য কষ্ট পেয়েছেন। আমি এমপি হওয়ার পর প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে সুবিল ইউনিয়নের এই রাস্তাটির কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করেছি। কাজের মানের বিষয়ে কোনো ছাড় নয়। ঠিকাদার কাজের গাফিলতি করলে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবেন, আমি ব্যবস্থা নেব।
সভাপতির বক্তব্যে শ্রীশ্রী রামানন্দ গিরি বলেন, শত বছরের ওয়াহেদপুর গ্রামে শ্রীশ্রী সংযোগানন্দগিরির স্মৃতি মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরে প্রতি বছর বুদ্ধ পূর্ণিমাতে মহাসমারোহে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন পূজা ও অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এ পূজানুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে প্রথম দিন অধিবাস ও সমবেত উপাসনা। দ্বিতীয় দিন উষালগ্নে মঙ্গল আরতি, প্রভাতী শিবসঙ্গীত, শিবপূজা, বিষ্ণুপূজা, গুরুপূজা, সপ্তসতী চন্ডীপাঠ, পুষ্পাঞ্জলি ও দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ। বিকেলে ধর্মসভা ও বিশ্ব শান্তিকল্পে সমবেত প্রার্থনা এবং রাতে স্মৃতি মন্দিরে মহাশক্তির পূজা ও সমবেত প্রার্থনা। তৃতীয় দিন শীতলা দেবীর পূজা ও হোম। এ উৎসবে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা এবং ভারত হতে বহু পুণ্যার্থীর শুভাগমন ঘটে।
সুখেন দত্তের উপস্থপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রীশ্রী সংযোগানন্দ গিরি স্মৃতি সংসদের সিনিয়ির সহসভাপতি শ্রীশ্রী সঞ্জায়ানন্দ গিরি, জয়দেব গিরি লিটন, কালিপদ রায়, বিজয় রায়, সাধারণ সম্পাদক ফণি ভূষণ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার পোদ্দার, প্রচার সম্পাদক ডা. দুলাল চক্রবর্তী, দেবিদ্বার উপজলো পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জীবন চন্দ্র দাস, দপ্তর সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র দাস, উপদষ্টো মণ্ডলির সদস্য ডা. অজতি চন্দ্র দাস প্রমুখ।
মন্তব্য করুন