সাতক্ষীরা সদরের একটি ইটভাটার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) পরিশোধ না থাকায় সাধারণ এক ক্রেতার ক্রয় করা দুই ট্রলি (২ হাজার) ইট জব্দ করেছে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সাতক্ষীরা সার্কেল।
শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেভিনিউ অফিসার রাশিদুল হাসান ইকবালের নেতৃত্বে কাস্টমস কর্মকর্তারা সদরের বাবুলিয়া বাজার থেকে এসব ইট জব্দ করেন।
ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে সাধারণ ক্রেতার ক্রয় করা ইট জব্দ করায় কাস্টমসের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
কর পরিশোধ না করা ওই ইটভাটাটি সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের শেখ শহিদের মালিকানাধীন মেসার্স নিবরাজ ব্রিকস্।
ভুক্তভোগী সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া মাঠপাড়া এলাকার আবু ওয়ালিদ জানান, আমরা ২০২২ সালে নগদ টাকা দিয়ে মেসার্স নিবরাজ ব্রিকস্ থেকে ইট ক্রয় করে আমাদের মামার বাড়ি আবাদের হাটের শিয়ালডাঙ্গা এলাকায় দুই বছরের মতো রেখেছিলাম। আজ বিকেলে মামার বাড়ি থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে দুটি ট্রলিতে (২ হাজার) ইট নিয়ে রওনা হয়েছিলাম। পথিমধ্যে বাবুলিয়া বাজার এলাকায় কাস্টমস কর্মকর্তা আমার ওই ইটগুলো আটক করে। আমাদের কাছে থাকা ভাটার রশিদ দেখিয়েছি। কিন্তু তার পরেও আমাদের কথা তারা না শুনে ইটগুলো আটক করে নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, কাস্টমস কর্মকর্তাদের দাবি আমাদের ভ্যাট পরিশোধ হয়নি। কিন্তু আমরা তো সবকিছুই পরিশোধ করে ইট ক্রয় করেছি। আমাদের কাছে মেমো আছে কিন্তু তাও তারা কোনো কথা শুনতে চায়নি।
সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ আনোয়ার হোনেস মিলন বলেন, জীবনে প্রথম বার দেখলাম বিক্রেতার কাছে পাওনা টাকার জন্য ক্রেতার পণ্য জব্দ হয়। কাস্টমস কর্মকর্তাদের এটা কী ধরনের হয়রানি এটি আমার বধোগম্য নয়।
ক্রেতার ইটসহ পরিবহন কেন জব্দ করা হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা কাস্টমসের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেভিনিউ অফিসার মাজহারুল মেজবাহ বলেন, ক্রেতার ইট জব্দ করা হয়েছে এটি লিখেন না। আপনার লেখেন ভ্যাট পরিশোধ না করায় ইটভাটা মালিকের পরিবহন জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন