সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক টিমের ১২ জন খেলোয়াড় আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের পাঠাবুকা গ্রামের খেলার মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে আহতরা হলেন, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামের এমরুল মিয়ার ছেলে মুরসালিন (২৫), একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের ছেলে আফসার হোসেন (২২), তফুর উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন মিয়া (১৬), জয়নাল মিয়ার ছেলে রায়হান(২০), লিটন মিয়ার ছেলে সজিব মিয়া (১৮), কুতুব উদ্দিনের ছেলে বাদশা মিয়া (২৫), তাজ উদ্দিনের ছেলে হোসাইন (২৫), তৌহিদের ছেলে মুশাহিদ (২০), মিরাজ উদ্দিনের ছেলে আফসার (২২), কয়েস মিয়ার লিপছন মিয়া (২৫), রেজুয়ান মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (২০) ও রুবেল মিয়ার ছেলে তামিম মিয়া(২০)।
আহতদের মধ্যে আফসার, রায়হান, সজিব, বাদশা, মুশাহিদ, আফসারসহ ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত হোসাইন, মুরসালিন, ইয়াছিনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান।
খেলোয়াড় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাঠাবুকা গ্রামের একটি ফুটবল টিমের দাওয়াতে খেলতে যায় রতনশ্রী গ্রামের একটি টিম। খেলার মধ্যে রতনশ্রী গ্রামের একজনের সঙ্গে পাটাবুকা গ্রামের খেলার লাইনম্যানের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে পাঠাবুকা গ্রামের হেলাল মিয়া ও আইনুলের নির্দেশে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাটাবুকা গ্রামের শতাধিক লোকজন আক্রমণ করে রতনশ্রী গ্রামের খেলোয়াড়দের উপর। এতে ১২ জন খেলোয়াড় আহত হয়।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনাটি জেনেছি। এখনো থানায় কেউ লেখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন