জয়পুরহাটের কালাইয়ে জমি-জমাসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যা মামলায় ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ সময় প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অর্থ অনাদায়ে আরও দুই বছর করে প্রত্যেককে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড প্রাপ্তপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলার কালাই উপজেলার আওড়া কালিমোহর গ্রামের মৃত তফিজ উদ্দীনের ৩ ছেলে, জয়নাল মন্ডল, মোজাম্মেল হক, মোফাজ্জল হোসেন, মোফাজ্জল হোসেনের ২ ছেলে গোলাম মোস্তফা ও মোসফর আলী, মোজাম্মেল হকের ২ ছেলে মাহফুজার রহমান ও মো. মাসুদ, বাদশা মিয়ার ছেলে মামুনুর রসিদ, মৃত লসির উদ্দীনের ছেলে সামছদ্দীন এবং আলমগীর হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেন ওরফে বেলায়েত হোসেন।
রায় ঘোষণার পর পুলিশ পাহারায় তাদের জয়পুরহাট জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। রায়ে সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী (এপিপি) গকুল চন্দ্র মন্ডল।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলার কালাই উপজেলার আওড়া কালিমোহর গ্রামের আব্দুস সামাদ তার পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে মুরগির সেড নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন।
এ মামলার আসামিরা ২০১৫ সালের ৫ জুলাই দুপুর ৩টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে ওই নালিশি সম্পত্তিতে আসামিদের কোনো স্বত্ব বা দখল না থাকা সত্ত্বেও মুরগির সেডের পাশ থেকে মাটি কেটে নিয়ে তারা নিজের জমি ভরাট করছিলেন। জমির মালিক সামাদ ও তার ছেলে ভাই বাধা দিলে আসামিরা তাদের ধারাল অস্ত্র এবং কোদাল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে আব্দুস সামাদের ছেলে সাইদুল ইসলাম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ জুলাই তার মৃত্যু হয়। নিহত সাইদুল ইসলামের বাবা কালাই থানায় মামলা করেন। কালাই থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণে বিচার শেষে আদালত এ রায় দেন।
মন্তব্য করুন