জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সোমবার (৩ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে মহেশপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, সোমবার সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে দুটো অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে।
মোবাইল রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলের ট্রাক মার্কায় ভোট করেছি বলে আমি পচে গেছি না কি। আজমপুর ইউনিয়ন নিয়ে তোকে যেন মাথা ঘামাতে না দেখি। এরপরেও মাথা ঘামালে তোকে সাইজ করে দিব। কথাটা মনে রাখিস।’
আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ বলেন, সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে আমি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাউদ্দিন মিয়াজির পক্ষে ভোট করেছি এবং তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তারপর থেকে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলের অনুসারীরা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ সকালে আমার মোবাইলে কল করে এ ধরনের কথা বলায় আমি আমার জীবন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছি।
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলের ভাই মেয়র আব্দুর রশিদ বলেন, দোবিলা বিলে বালু তুলে বিক্রি করার জন্য গত ২ জুন অ্যাসিল্যান্ড অফিসে ওপেন ডাক হয়। সেখানে সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানুজ্জামান লিটন প্রভাব বিস্তার করে দুজনে ভাগাভাগি করে নেয়। সুলতানুজ্জামান লিটনের বালু বিক্রি করে দিয়েছে এবং সাজ্জাদের অংশের বালুর গাদা সেখানে পড়ে রয়েছে। আর আমি যতটুকু জানি ধান চাল ভাগবাটোয়ারা নিয়ে লিটনের লোকজনের সঙ্গে সাজ্জাদের বিরোধ হতে পারে। এখানে সাবেক এমপি চঞ্চলের লোকজন তো ওই ওপেন ডাকে অংশই নেয়নি।
বালুর বিষয়টি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতানুজ্জামান লিটন জানান, মেয়র যে কথা বলেছেন, এসব কথা সত্য না। বালু উঠিয়েছে আমাদের ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম। এর মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কথা আসবে কেন?
ঘটনাটি জানার কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদের মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন