ঝিনাইদহের মহেশপুরে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত যুবলীগ নেতা আবু হানিফের লাশ নিয়ে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলামপুর স্কুল মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে নিহত যুবলীগ নেতা আবু হানিফের জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হত্যায় জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে ঝিনাইদহে নিহত ১
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামে কৃষক একাদশ ও ব্যবসায়ী একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলার বিরতিতে কৃষক একাদশ খেলোয়াড় বদল করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ব্যবসায়ী একাদশ। এ নিয়ে উভয় দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আবু হানিফসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক আবু হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত নিহত হানিফের ভাই আতিয়ার রহমান জানান, আমাদের গ্রামের আলামপুর কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসী কৃষকদের নিয়ে গঠিত ফুটবল দল ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত দলের মধ্যে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। সেই ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে স্কুল মাঠে একটি সংঘর্ষ হয়। এ সময় আমার চাচাতো ছোট ভাই হানিফকে মালেক মেম্বার ও তার গ্রুপের লোকজন বেধড়ক মারধর করে মাথায় প্রচণ্ডভাবে আঘাত করে, এতে সে মারা গেছে। তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের সবাইকে যেন আইনের আওতায় এনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে আহত মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আবু হানিফকে মারধর করতে দেখে আমি ঠেকাতে যাই। এ সময় আমার পেছন থেকে কয়েকজন লাঠি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এতে আমি মাটিতে পড়ে যাই। তারপরও আমাকে পেটাতে থাকে। পরবর্তীতে কি হয়েছে, আমি আর জানি না। এ ঘটনায় মালেক মেম্বার ও তার লোকদের বিচার চাই। এজন্যই লাশ নিয়ে আমরা স্কুল মাঠে মানববন্ধন করছি।
নিহতের মা বেনেসাঁ বেগম মানববন্ধনে বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ ছিল। একটু খেলা দেখব বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুল মাঠে যায়। কিছুক্ষণ পর আমি স্কুল মাঠের দিকে এসে দেখি, আমার ছেলেকে মালেক মেম্বার কলার ধরে টেনে নিয়ে পেটাচ্ছে। একপর্যায়ে ছেলের মাথায় আঘাত করতে থাকে।
তিনি দাবি করেন, আমার ছেলেকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে, তাদের আমি বিচার চাই, ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে মেম্বার আব্দুল মালেকের ব্যক্তিগত কন্ট্রাক্ট নম্বরে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন