কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হাটবাজার ধরতে নানা বাহারি নামে গরু মোটাতাজা করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন খামারিরা। এরই মধ্যে অনেক খামারে শুরু হয়ে গেছে আগাম বেচা-বিক্রি। খামারিরা জানিয়েছেন, এবার অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা ভালো দামে গরু বিক্রির আশা করছেন তারা।
লাভজনক হওয়ায় দেশে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গরুর খামার। প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষ যুক্ত হচ্ছে খামার ব্যবসায়। সফলতা পাচ্ছেন অনেকেই।
এমনই এক সফল খামারি হচ্ছেন মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার মেসার্স সিয়াম অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম ছেনু। তার বাবা মৃত বজলু মিয়ার হাতে গড়া খামারটির বয়স এখন শত বছরের উপরে। ছেনুর বাবার মৃত্যুর পর ছেলেরা খামারের হাল ধরেন। এ খামারে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৬৫টি গরু রয়েছে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে ক্রেতাদের মন জয় করতে এ খামারে গড়ে তোলা হয়েছে বাহারি নামের বিগবস, বাদশা, টাইগার, বুলেট ও রক নামের পাঁচটি গরু। এসব গরু দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছে এ খামারে।
সরেজমিনে মেসার্স সিয়াম অ্যাগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা যায়- সবুজ ঘাস, খড়, ভুসি আর পানি খাইয়ে একদম প্রাকৃতিক পরিবেশে পরম আদর যত্নে লালনপালন করা হচ্ছে এ খামারের গরুগুলোকে। এ ছাড়া আলাদাভাবে বিশেষ যত্নসহকারে লালনপালন করা হচ্ছে বাহারি নামের ওই পাঁচটি গরুকে।
মেসার্স সিয়াম অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম ছেনু জানান, মূলত কোরবানির বাজার ধরতে অনেক আগে থেকেই দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন তিনি। দেশের বাইরে থেকে গরু অনুপ্রবেশ না করলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারের ঈদে ভালো মুনাফা পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। এ পর্যন্ত ছোট-বড় মিলিয়ে ৬৫টি গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যতিক্রমী পাঁচটি গরুর আচরণকে কেন্দ্র করে নানা বাহারি নামে ডাকা হচ্ছে এদের।
জুড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমা পদ দে জানান, প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় দিনকে দিন বাড়ছে কোরবানির পশুর চাহিদা। সেই সঙ্গে বেড়েছে এর সংখ্যা। উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক খামার রয়েছে। চাহিদার কথা ভেবে দেশি ও বিদেশি জাতের ছোট-বড় গরু রয়েছে এসব খামারে।
তিনি বলেন, প্রতিটি খামারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে, যাতে করে কেউ অসৎ উপায়ে গরু মোটাতাজা না করতে পারে।
মন্তব্য করুন