ঈদুল আজহা উপলক্ষে জামালপুরের ইসলামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৩টি ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ চালু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ইসলামপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে এসব গবাদিপশু নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ২৫টি ওয়াগনে ৪০০ গরু নিয়ে ইসলামপুর বাজার স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় প্রথম ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’।
প্রতিটি ট্রেনে ২৫টি করে ওয়াগন থাকবে। প্রত্যেকটিতে ১৬টি করে গরু নিয়ে যাওয়া হবে। এ বছর ইসলামপুর থেকে ৫৯টি ওয়াগন বুকিং করেছে গরু ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি ওয়াগনের ভাড়া ৮ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ট্রেনের ২৫টি ওয়াগনে ১৬টি করে মোট ৪০০টি গরু ছিল।
একই দিনে রাত ৮টায় ইসলামপুর থেকে ছেড়ে যায় আরও একটি ট্রেন। সেখানে ২৫টি ওয়াগনে ১৬টি করে মোট ৪০০টি গরু ছিল।
এ ছাড়াও বৃহস্পতিবার ইসলামপুর স্টেশন থেকে ৯টা ওয়াগন এবং মেলান্দহ রেলস্টেশন থেকে ৮টি ওয়াগন মোট ১৭টা ওয়াগনে ১৬টি করে ২৭২টি গরু নিয়ে ট্রেনটি ঢাকায় পথে রওনা করবে। গতবছরের চেয়ে এ বছর চাহিদা বেশি থাকায় দুইদিন এ সার্ভিস চালু থাকবে।
গরু ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া, সামাদ মিয়া, বছির শেখসহ আরও অনেকেই বলেন, এ সেবাটি চালু থাকায় আমরা অনেক খুশি। আগে এক ট্রাক গরু ঢাকা নিয়ে গেলে খরচ হতো ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। এখন মাত্র আট হাজার টাকায় ১৬টি গরু এক ওয়াগনে আরামে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে।
ইসলামপুর উপজেলার সিরাজাবাদ এলাকায় গরু ব্যবসায়ী কুদ্দুছ ব্যাপারী বলেন, রাস্তাঘাট দিয়ে গরু নিয়ে গেলে অনেক জায়গায় চাঁদা দিতে হতো। রাস্তার ঝাঁকুনিতে গরুর অবস্থাও খুবই খারাপ হয়ে যেত। ট্রেনে গেলে তেমন কোনো ঝামেলা হয় না।
ইসলামপুর বাজার রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার শাহীন মিয়া বলেন, ২০২০ সাল থেকে কম খরচে কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য ক্যাটল স্পেশাল নামে বিশেষ ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রেনে পশু পরিবহনে খরচ কমার পাশাপাশি এড়ানো যাবে ভোগান্তি। এ ছাড়া এই পরিবহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কম। একইভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আরও একটি পশুবাহী ট্রেন ছেড়ে যাবে।
মন্তব্য করুন