বিশাল দেহের চঞ্চল এই গরুটির নাম জমিদার। জমিদারের মতোই আয়েশি চলন তার। চলাফেরা, খাওয়া দাওয়া, গোসল, বিশ্রাম সব কিছুতেই তার জমিদারি ভাব। জমিদার সবসময় খায় না। রুটিন অনুযায়ী সময়মতো খাবার দিতে হয় তাকে। গোসলেও তাকে রাখতে হয় পরিষ্কার জায়গায়।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের হালয়াঘাট উপজেলার শাকুয়াই ইউনিয়নের এই ষাড়টিকে প্রস্তুত করেছেন শ্রী বাপ্পি সরকার। দুই বছর আগে ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে ষাড়টিকে কিনে আনেন বাপ্পি সরকার। তার পর থেকেই নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে লালন পালন করে বড় করেন জমিদারকে। শখের এই গরুটি শান্ত হওয়াতেই জমিদার নামকরণ করেন বাপ্পি সরকার।
মাথার ওপর পাখা না চললে থাকতে পারে না গরুটি। রূপে-গুণেও অনন্য জমিদার। তার সুঠাম দেহ নজর কাড়ে সবার। বিশাল দেহের এই ষাড়টিকে প্রতিদিন খাওয়ানো হয় ৮ থেকে ৯শ টাকার খাবার।
গরুর মালিক বাপ্পি সরকার বলেন, গরুটির নাম শখ করে রেখেছি জমিদার। খুবই শান্ত স্বভাবের এ গরুটি খুব কষ্ট করে লালনপালন করেছি।
জমিদার নামের গরুটির ওজন প্রায় ২৮ মণ। সিন্দি বার্হমার জাতের এ ষাড়ের দাম হাঁকানো হচ্ছে ৬ লাখ টাকা। কলা, দেশি ঘাস, ভুট্টা, গমের ভুষি ও শুকনো খরসহ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয় ষাড়টিকে। তাকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষজন।
কোরবানিতে বড় আকারের ষাড় নজর কাড়ে সবারই। দামও পাওয়া যায় ভালো। তাই দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে সফলতার মুখ দেখছেন খামারিরা।
মন্তব্য করুন