ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে খুলনার হরিণটানা উপজেলার সাথী আক্তার নামে দশম শ্রেণির একছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার পিঁপড়ামারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনার চারদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় ‘আমারে দেখিবার আইসো শেষ জানাজার আগে, যেন পরকালে তোমায় দেখার একটু স্বাদ জাগে’।
নিহত সাথী আক্তার হরিণটানা থানার ঠিকরাবাদ পিপড়ামারী এলাকার বালু ব্যবসায়ী ইউসুফ শেখের বড় মেয়ে। সে প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও সাথীর পরিবারের সদস্যরা জানান, সাথী আক্তারের সঙ্গে দেড় বছর আগে স্থানীয় একটি এনজিও’র হিসাবরক্ষক রাজ বিশ্বাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর জেরে শনিবার রাত ১২টার দিকে রাজ বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সাথী।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ রোববার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সাথীর বাবা বাদী হয়ে রোববার দুপুরে থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। যদি আত্মহত্যার প্ররোচনার তথ্য পাওয়া যায় তাহলে সেই ধারায় মামলা হবে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন