পাওনা টাকা পরিশোধ না করে ৪৮ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় দক্ষিণ কোরিয়ান বৈদ্যুতিক ক্যাবল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলএস ক্যাবল অ্যান্ড সিস্টেম লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক স্যাম ইউকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হকের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির না হলে তার অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
রোববার (৩০ জুন) বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, এলএস ক্যাবল বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সরবরাহ ও প্রতিস্থাপনের কাজ করে আসছে। এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করতে তারা বাংলাদেশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের সঙ্গে তাদের লোকাল এজেন্ট এবং সাব কন্ট্রাক্টর হিসেবে চুক্তি সম্পাদন করে। কাজ শুরুর প্রথম দিকে তারা চুক্তির শর্ত মোতাবেক চলমান বিল উত্তোলন করে বিল পরিশোধ করতে থাকে। পরবর্তীতে তারা চলমান বিল পরিশোধ না করে তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা করতে থাকে। পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্স এর পক্ষ থেকে একাধিক ইনভয়েস জমা দিলেও তারা কোনো টাকা পরিশোধ করেনি। কোরিয়ান কোম্পানির সঙ্গে সম্পাদিত ৪টি চুক্তিতে আমাদের প্রায় ৪৮ কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে এলএস ক্যাবল অ্যান্ড সিস্টেম লিমিটেডের কাছে আটকে যায়। এ ঘটনায় ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প পরিচালক স্যাম ইউর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। পরে আসামি স্যাম ইউ পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন প্রকৌশলী মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা কাজ করলেও টাকা পায়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওনা টাকা ফিরে পেতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মন্তব্য করুন