শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পুলিশের হেফাজতে থাকা তিনজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ঢাকার সিএমএম আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
শিগগিরই তারা কারামুক্ত হয়ে পরিবারে কাছে ফেরত যাবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নাশকতার ঘটনায় পুলিশের হেফাজতে থাকা তিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে আইনি সহায়তা দিতে আইনজীবী নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দেয়। একপর্যায়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। তাদের সঙ্গে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদেরও দেখা যায়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের অবরোধও দেয়। একপর্যায়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করে হল খালি করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ করা হয়। গত ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়। ব্যাপক ভাঙচুর হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা হয়। এতে সরকারি হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৫০ জন নিহত হয়েছেন। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।
মন্তব্য করুন