কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ১২:২১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
মানিকগঞ্জে উমা দেবী হত্যা

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি হাইকোর্টে খালাস

হাইকোর্ট। ছবি : সংগৃহীত
হাইকোর্ট। ছবি : সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে উমা দেবী (৭০) হত্যা মামলায় অধঃস্তন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. ইসহাক ভূঁইয়া, ইমান আলী ফকির, বাচ্চু, মো. শহিদুল ইসলাম। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি পলাতক নান্নু মিয়ার সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা ও সৈয়দা ফারাহ হেলাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় কোন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী নেই। আসামিদের স্বীকারোমূলক জবানবন্দি দিলেও সেখানে ডাকাতির ঘটনা উল্লেখ নেই। কিন্তু মামলার বাদী ডাকাতির ঘটনায় স্বর্নালংকার লুট এরপর হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তারা কোন স্বর্নালংকার উদ্ধার করতে পারেনি। এ ছাড়া তদন্তকারী দুই কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিতেও আসেনি। এ মামলার তদন্তে বিস্তর ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে।

আইনজীবী আরও বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার ত্রুটিপূর্ণ তদন্ত এবং অবহেলায় কারণেই আসামিরা খালাস পেয়েছেন। তা না হলে মামলায় এ রকম পরিণতি হতো না।

তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা উমা দেবীকে হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে খালাস এবং একজনের দণ্ড কমে যাবজ্জীবন হওয়ায় আমরা অসন্তুষ্ট। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।

মামলার এজাহারে সূত্রে জানা হয়, মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌরসভায় ছানোয়ারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া থাকা অবস্থায় ২০১০ সালের ৯ আগস্ট সুবোধ চক্রবর্তীর স্ত্রী উমা দেবীকে (৭০) হত্যা করা হয়েছে। তাকে পা দুটি গামছা দিয়া বেঁধে, গলায় লুঙ্গি দিয়া পেঁচিয়ে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাকে হত্যা করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়‌। এ ঘটনার পরদিন ২০১০ সালের ১০ আগস্ট উমা দেবীর ছেলে মানবেন্দ্র চক্রবর্তী বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় এজাহার দায়ের করেন।

পরে পুলিশ এ ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের আসামি করে আদালতে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর ২০১১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৭ সালের ৬ জুন পাঁচ আসামির প্রত্যেকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে রায় দেন।

এরপর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলাটি হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে আসামিরা জেল আপিল এবং আপিল দায়ের করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুমের মামলায় শেখ হাসিনার আইনজীবী জেড আই খান পান্না

বাংলাভিশনকে হারিয়ে সেমিফাইনালে কালবেলা

রূপলাল হত্যার আসামি গ্রেপ্তার

আজ থেকে বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকে সরাসরি গ্রাহকসেবা 

বিপিএলে বাড়তে পারে আরও এক দল, আলোচনায় নতুন নাম

‘১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে’

নিজের চেহারা নিয়ে যা বললেন ধানুশ

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুকে গাভি উপহার

এক পদের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২ পদে শিক্ষক নিয়োগ

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১০

দেবের সঙ্গে রোম্যান্সে নজর কেড়েছেন জ্যোতির্ময়ী

১১

আটটির মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধ থামিয়েছি : ট্রাম্প

১২

বরিশালের এক নেত্রীকে সুসংবাদ দিল বিএনপি

১৩

ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা, গণপিটুনিতে নিহত ১

১৪

প্রসূতির মৃত্যু, পালিয়ে গেলেন চিকিৎসক-নার্স

১৫

টাইপকাস্ট হতে চান না তৃপ্তি

১৬

আয়ারল্যান্ড সিরিজ মিস করবেন তারকা ক্রিকেটার!

১৭

ফাতিমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজয়

১৮

পদ্মার চরে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা

১৯

জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর

২০
X