কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস

বেগম খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ‍দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে এ মামলায় হাইকোর্ট ডিভিশন ও বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ মামলা করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার সম্মানহানি করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মতো শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

এর আগে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করা হয় ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর। সেই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। এরপর নিয়মিত আপিল করা হয়।

দাতব্য কাজের লক্ষ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে যে দাতব্য সংস্থা চালু করা হয়; তার একটি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালে সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ নামে হিসাব চালু করা হয়। ১৯৯১ সালের ৯ জুন একাউন্টটিতে কুয়েত আমিরের পাঠানো বিদেশি অনুদান আসে। এই অনুদানের অর্থ পরবর্তী দুই বছরে কোনো এতিমখানায় দান করা হয়নি। দুই বছর পর, জিয়াউর রহমানের দুই ছেলে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান এবং তাদের ফুপাতো ভাই মমিনুর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করেন। ট্রাস্ট গঠনের পর অনুদানটি দুই ভাগ করে ট্রাস্টের বগুড়া এবং বাগেরহাট শাখার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

আলোচিত এক এগারো সরকারের সময় ট্রাস্ট্রের জন্য কুয়েত আমিরের পাঠানো সেই অর্থের প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে। দায়ের করা মামলা। যে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০৯ সালে। সে বছর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত থাকলেও পরবর্তিতে গতি পায় আবারও।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটির রায় হয়। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টে গিয়ে সেই সাজা হয়ে যায় ১০ বছর। এরপর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে যেতে হয় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে ইরান’

নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা তরুণীর, অতঃপর...

আফ্রিকার সবচেয়ে শক্তিশালী নারী হয়ে উঠলেন যেভাবে

নিখোঁজ শিশুর মরদেহ মিলল মৎস্য ঘেরে

ছবি দেখেই বুঝুন আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা কতটা তীক্ষ্ণ

স্বর্ণের দোকানে ঢুকেই মরিচের গুঁড়া ছিটালেন এক নারী, অতঃপর...

নতুন ১৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি

কুমিল্লায় আ.লীগের মিছিল, অতঃপর...

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করবে : বাবুল

নতুন গবেষণায় বদলাচ্ছে ইংরেজি শেখার ধারা

১০

মাছ চাষে মুরগির বিষ্ঠার ব্যবহার, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

১১

১ কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করবে বিএনপি : আমীর খসরু

১২

দুঃসংবাদ দিলেন মিজানুর রহমান আজহারি 

১৩

‘কালমেগির’ পর ধেয়ে আসছে ‘ফাং-ওয়ং’, সুপার টাইফুনের পূর্বাভাস

১৪

মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের ‘টেঁটাযুদ্ধ’, আহত ১৫

১৫

পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১৬

মাঠে পড়ে ছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ

১৭

১ ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকালেন আফ্রিদি

১৮

দুঃসময়ে পাশে থাকা নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হোক : আবুল হারিছ

১৯

মা-বাবা না থাকলে কেন ভাইবোনেরা দূরে সরে যায়

২০
X