কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ এএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আপিল না করেও খালাস পেলেন তারেক রহমান 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি : সংগৃহীত

আপিল না করেও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ‍দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণা করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, এই মামলা ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার। বেগম জিয়ার ওপর শেখ হাসিনা ওয়াজেদের জিঘাংসা চরিতার্থ করার এই মামলায় বিজ্ঞ আদালত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। তারেক রহমানসহ যারা আপিল করতে পারেনি তাদেরও খালাস দিয়েছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মতো শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

এর আগে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করা হয় ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর। সেই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। এরপর নিয়মিত আপিল করা হয়।

দাতব্য কাজের লক্ষ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে যে দাতব্য সংস্থা চালু করা হয়; তার একটি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালে সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ নামে হিসাব চালু করা হয়। ১৯৯১ সালের ৯ জুন অ্যাকাউন্টটিতে কুয়েত আমিরের পাঠানো বিদেশি অনুদান আসে। এই অনুদানের অর্থ পরবর্তী দুই বছরে কোনো এতিমখানায় দান করা হয়নি। দুই বছর পর, জিয়াউর রহমানের দুই ছেলে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান এবং তাদের ফুপাতো ভাই মমিনুর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করেন। ট্রাস্ট গঠনের পর অনুদানটি দুই ভাগ করে ট্রাস্টের বগুড়া এবং বাগেরহাট শাখার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

আলোচিত এক-এগারো সরকারের সময় ট্রাস্ট্রের জন্য কুয়েত আমিরের পাঠানো সেই অর্থের প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে। দায়ের করা হয় মামলা। যে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০৯ সালে। সে বছর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত থাকলেও পরবর্তিতে গতি পায় আবারও।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটির রায় হয়। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টে গিয়ে সেই সাজা হয়ে যায় ১০ বছর। এরপর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে যেতে হয় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৩ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলা শুরু 

মালয়েশিয়ায় বিয়ে করা নিয়ে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা

ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা 

যে ৫ ধরনের ব্যক্তির জন্য বেগুন খাওয়া বিপজ্জনক

দিনদুপুরে ব্যবসায়ীর টাকার ব্যাগসহ মোটরসাইকেল ছিনতাই

নাগরিক নিরাপত্তা অধিকার হুমকির মুখে, আসকের বিবৃতি

ধানমন্ডির রাশিয়ান হাউসে ‘জাগো হুয়া সাবেরা’র বিশেষ প্রদর্শনী

এসএসসি পাসেই আড়ংয়ে চাকরি, বেতন ছাড়াও থাকছে বিভিন্ন সুবিধা

এশিয়া কাপ বয়কটের ডাক দিয়ে যে কারণে সিদ্ধান্ত বদলাল পাকিস্তান

কামড় দেওয়া সাপ নিয়ে হাসপাতালে বৃদ্ধা

১০

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ৪ শতাধিক পদে বড় নিয়োগ, আবেদন যেভাবে

১১

রেস্তোরাঁয় এক হাঁড়ি স্যুপে প্রস্রাব করে দিল ২ কিশোর, অতঃপর...

১২

মির্জা ফখরুল- মির্জা আব্বাসসহ ৬৭ জনকে অব্যাহতি

১৩

অতিরিক্ত সচিব ফয়সল ইমামের শাস্তি দাবি বিএআরএফের

১৪

কোটিপতি ৩ ঝাড়ুদারের ঢাকায় ফ্ল্যাট-প্লট, বিদেশে পড়ে সন্তান

১৫

নতুন মডেলের দুটি ইনভার্টার এসি বাজারজাত করছে মাইওয়ান

১৬

গাজীপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের রেলপথ অবরোধ, বিক্ষোভ

১৭

সোশ্যাল মিডিয়া ট্রল নিয়ে যা বললেন পরেশ রাওয়াল

১৮

আ.লীগ সরকার বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে : দুলু

১৯

সুন্দরবনের নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ ধরার সময় ৫ জেলে আটক

২০
X