দশ বছর আগে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও সিএনজিতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে রমনা মডেল থানায় করা মামলায় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবীবসহ বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আবুল কালাম আজাদ নামে বিএনপির এক কর্মীর দণ্ডবিধির দুই ধারায় চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে, দুই ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরি বিষয়টি কালবেলাকে জানিয়েছেন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- রাইসুল ইসলাম, জাকির হোসেন, মিজান, আওয়াল, আশরাফুজ্জামান, সেলিম, জিন্নাত, দোলোয়ার হোসেন, মামুন, রশিদ, ইকবাল, মহসিন, আকরাম হোসেন, নাজমুল, ইমাম উল মজিদ, আশরাফ হোসেন, হাশেম ও জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১২ মার্চ বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির সামনে মিছিল বের করে। সে সময় ছাত্র দলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েলসহ ২১ জনসহ ৪০/৫০ জন বিএনপির নেতাকর্মীরা আসামিরা বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে ইট পাটকেল, লাঠিসোটা, রড, হকিস্টিক নিয়ে রাস্তায় চলাচলরত যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। আসামিদের নিক্ষিপ্ত ইট ও বিস্ফোরিত স্প্রিন্টারের আঘাতে এসআই আশফাক রাজীব হাসান, কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাক, আনছার, জাকির হোসেন ও খালেক গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আগুনে পোড়া সিএনজি, পাঁচটি বাঁশের লাঠি, ১৫টি ইটের টুকরো ও দশটি গাড়ির গ্লাস জব্দ করা হয়। এ ঘটনার পরেরদিন রমনা থানার এসআই হানিফ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ৮ জুন আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েলসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। মামলা বিচার চলাকালে আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন