জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) এবং দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার করেছেন আদালত। যার ফলে তাদের দুজনের দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।
ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত যুগ্ম জেলা জজ রুবায়েত ফেরদৌসের আদালতে মঙ্গলবার মামলার বাদী জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) জিএম কাদেরের আইনজীবী মনোয়ার হোসেন আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মামলার বাদী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ গত ২ আগস্ট মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন করেন। পরে ১১ আগস্ট মামলাটি ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত থেকে ৬ষ্ঠ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বদলি হয়। পরের দিন মঙ্গলবার বিচারক মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে জিএম কাদের ও মাহমুদ আলমের দলীয় কার্যক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার করেন। এর ফলে জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে আর কোনো বাধা নেই।
এর আগে গত ৩০ জুলাই জিএম কাদের এবং মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এ ছাড়া জিএম কাদের ১০ জনের ওপর যে বহিষ্কারাদেশ (অব্যাহতি) দিয়েছিলেন তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ২৮ জুন প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে এই ১০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং জাতীয় পার্টির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও তাদের নাম মুছে ফেলা হয়৷
ওই ঘটনায় ১০ জুলাই অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতারা জিএম কাদেরসহ দুজনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন। বিবাদীর তালিকায় আরও দুজন (মোকাবিলা বিবাদী) রয়েছেন, যাদের বিষয়ে কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি।
ওই ১০ ব্যক্তি হলেন- জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ (চট্টগ্রাম), প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আকতার (ফেনী), প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম জহির (টাঙ্গাইল), প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ (জামালপুর), প্রেসিডিয়াম সদস্য জসীম উদ্দিন (নেত্রকোনা) এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য আরিফুর রহমান খান (গাজীপুর)।
মন্তব্য করুন